Tuesday, August 26, 2025

পাওয়ার লোভী, ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থে আদানির জয়গান: ছবি ফাঁস কংগ্রেসের

Date:

Share post:

একদিকে যখন আদানি ইস্যুতে সংসদের ভিতরে ও বাইরে সরব কংগ্রেস(Congress) সহ বিরোধীরা। ঠিক সেই সময় বিজেপির সুরে আদানির পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে মহারাষ্ট্রে(Maharastra) কংগ্রেসের জোটসঙ্গী এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকে(Sharad Pawar)। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই এবার এনসিপি(NCP) প্রধানকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানালো কংগ্রেস। পাওয়ারকে ব্যক্তিস্বার্থ ‘চরিতার্থকারী লোভী’ বলে কটাক্ষ করে আদানির সঙ্গে শরদের সুসম্পর্কের এক ছবি প্রকাশ্যে আনা হল।

রবিবার আদানি ইস্যুতে শরদ পাওয়ারকে তীব্র আক্রমণ শানান কংগ্রেস নেত্রী অল্কা লম্বা। আদানির সঙ্গে শরদ পাওয়ারের পুরানো এক ছবি টুইটারে পোস্ট করে তিনি লেখেন, “ভীতু-লোভীরা আজ ব্যক্তিগত স্বার্থে স্বৈরাচারী ক্ষমতাবানদের জয়গান গাইছে। দেশের মানুষের লড়াই একা রাহুল গান্ধী লড়ছেন। যেমন তিনি পুঁজিবাদী চোরদের সঙ্গে লড়াই করছেন, তেমনই চোরদের রক্ষাকারী প্রহরীর সাথেও লড়ছেন।” বলার অপেক্ষা রাখে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের ৩৫ বছরের জোটসঙ্গীকে এভাবে আক্রমণে রীতিমতো তপ্ত হয়ে উঠল মারাঠাভূমি। এদিকে এই দ্বন্দ্বের ফায়দা নিতে মাঠে নামতে দেখা গেল বিজেপিকে।

 

শরদ পাওয়ারের পক্ষ নিয়ে এদিন টুইট করেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। তিনি লেখেন, “রাজনীতি আসবে এবং যাবে তবে একজন কংগ্রেস নেতার এই টুইটটি ভয়ঙ্কর। দীর্ঘ ৩৫ বছরের জোটসঙ্গী এবং ভারতের অন্যতম প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা তথা মহারাষ্ট্রের চার বারের মুখ্যমন্ত্রীকে এহেন মন্তব্য ভয়ঙ্কর। রাহুল গান্ধী ভারতের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বিকৃত করছেন।” যদিও অল্কা পরে জানান, শরদ পাওয়ারকে নিয়ে তার মন্তব্য ব্যক্তিগত। এটা কংগ্রেসের মত নয়।

উল্লেখ্য, আদানি ইস্যুতে শনিবার শরদ পাওয়ার মন্তব্য করেন, “আমি মনে করি হিন্ডেলবার্গ রিপোর্টে আদানিদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওদের টার্গেট করা হয়েছে। আমার মনে হয় না জেপিসির কোনও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পরে তো নয়ই। কংগ্রেস কী কারণে জেপিসি চাইছে, আমার কাছে তা স্পষ্ট নয়। শুধু এটুকু জানি, জেপিসি হলে কোনও দিনই সত্যিটা জানা যাবে না, শুধু মাসের পর মাস সময় চলে যাবে। হয়তো কংগ্রেস বিষয়টাকে জিইয়ে রাখতে চায়। আর আমি মনে করি আদানি প্রসঙ্গকে প্রয়োজনের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। হিন্ডেলবার্গের নাম ক’জন জানত? তাদের রিপোর্টে হইচই পড়ে গেল, অথচ তা যে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে আঘাত করল, আমাদের দেশের ক্ষতি হল, সেই বিষয়ে কেউ ভাবছে না।”

spot_img

Related articles

মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী! কিনলেন শাড়ি 

বর্ধমানে প্রশাসনিক সভায় এসে হঠাৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হাজির মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মহিলাদের হাতের কাজই ঘুরে দেখলেন না, কেনাকাটাও...

ধনধান্যে ভরে, মা এসেছে ঘরে: মুখ্যমন্ত্রীর লেখা-সুরে গান এবার দুর্গাপুজোয়

বাংলা ও বাঙালির বড় উৎসব আর পুজোর গান— এক অপূর্ব মেলবন্ধন। এখন দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে মণ্ডপে বাজে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা...

প্রধানমন্ত্রী বাংলা ছাড়তেই জীবনকৃষ্ণের গ্রেফতারি তৃণমূলকে অপদস্থ করার চক্রান্ত, তোপ কুণালের      

ইডির (ED) হাতে জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) গ্রেফতারি আসলে তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) অপদস্থ করার চক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রী বাংলায়...

জারি উন্নয়ন, তবু ভোট কম কেন? দক্ষিণ দিনাজপুর-জঙ্গিপুর বৈঠকে প্রশ্ন তুলে বার্তা অভিষেক

বিধানসভা ভোটকে নজরে রেখে জেলাওয়ারি বৈঠক করছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার, দক্ষিণ...