রাজ্যের কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা বাংলায় ৩৫৬ ধারা অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পক্ষে সওয়াল করেন।রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন তোলেন। এবার উত্তরপ্রদেশে পুলিশি ঘেরাটোপে গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাইয়ের খুনকে হাতিয়ার করে পক্ষে পালটা যোগীরাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানাল তৃণমূল।

আরও পড়ুন:সোমবার থেকে স্কুল-কলেজ ছুটির ঘোষণা মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর!
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যেই গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছেন আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরাফ ।সাংবাদিক, ক্যামেরা এবং কড়া পুলিশি পাহাড়ার মধ্যেই গুলি চালানো হয়েছে আতিককে লক্ষ্য করে। তারপরও উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়নি কেন? এই প্রশ্ন তুলে রবিবার সকালেই একটি টুইট করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সরাসরি বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে কুণাল প্রশ্ন করেন, “পুলিশি হেফাজতের মধ্যে আবার ভয়ঙ্কর হত্যাকান্ড। গোটা রাজ্যের সব জেলায় ১৪৪ ধারা। উত্তরপ্রদেশে ৩৫৬ ধারার পরিস্থিতি কি হয়নি? বিজেপি কী বলে???’

পুলিশি হেফাজতের মধ্যে আবার ভয়ঙ্কর হত্যাকান্ড।
গোটা রাজ্যের সব জেলায় 144 ধারা।
উত্তরপ্রদেশে 356 ধারার পরিস্থিতি কি হয়নি?
বিজেপি কী বলে???— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) April 16, 2023
গ্যাংস্টার আতিকের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরব গোটা দেশের বিরোধী দলগুলি। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বলছেন, “উত্তরপ্রদেশের অপরাধ একেবারে চরম সীমায় পৌঁছেছে। পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেও কী করে গুলি চালানোর সাহস পায় অপরাধীরা? নিরাপত্তার মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে?”AIMIM প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসির টুইট, “আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ যোগী সরকার। যারা এনকাউন্টার রাজ নিয়ে উচ্ছ্বসিত তারাই রয়েছে এই খুনের নেপথ্যে।” কপিল সিব্বলের বক্তব্য, “এদিনের ঘটনায় মোট তিনটি মৃত্যু হয়েছে। আতিক, আসিফের পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলারও।”

প্রসঙ্গত, দেশদুড়ে আতিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে।স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য যখন আতিককে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন কী করে পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে যারা গুলি চালালো তাঁদের অভিসন্ধি কী ছিল? দুদিন আগেই যার ছেলেকে এনকাউন্টার করে পুলিশ মৃত বলে ঘোষণা করল, তার ঠিক পরেই তাঁর বাবাকে কেন সেই এনকাউন্টার করা হল? সেইসঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
