Thursday, August 28, 2025

ফের কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তীব্র আ.ক্রমণ অভিষেকের, নিশানায় বিজেপি সাংসদ-বিধায়ক

Date:

Share post:

‘জনসংযোগ যাত্রা’র দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে এগিয়ে চলেছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। বুধবার, কোচবিহার দক্ষিণের সভা থেকে ফের কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব হন অভিষেক। কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে (Nishith Pramanik) তুলোধোনা করেন তিনি। একই সঙ্গে নিশানা করেন কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে (Nikhilranjan Dey) কেও। একশো দিনের কাজের টাকা না দেওয়া থেকে শুরু করে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রাখার বিষয় সরব হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

কেন্দ্রের মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সারা দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলার প্রকল্পের টাকাই আটকে রেখেছে কেন্দ্র। রাজ্যের ২ কোটি ৬৫ লক্ষ মানুষ ১০০ দিনের কাজ করেও টাকা পাননি। দেশের মধ্যে একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে। আর তাঁকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এলাকার বিজেপি সাংসদ রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে সংসদে সরব হন না। নিশীথ প্রামাণিক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। অথচ সেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা বিএসএফ-ই কোচবিহারে অত্যাচার চালাচ্ছে। আদিবাসী রাজবংশী যুবকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে।

সভা মঞ্চ থেকে কোচবিহার দক্ষিণের BJP বিধায়কের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন অভিষেক। তাঁর কথায়, গেরুয়া উত্তরীয় পরে, গেরুয়া টিকা দিয়ে বিধানসভায় গিয়ে এক মিনিটের মধ্যে হৈ-হট্টগোল করে “জয় শ্রীরাম” ধ্বনি দিয়ে অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে যান বিধায়ক। “তারপর কলকাতায় ফুর্তি করেন”। এলাকার মানুষের সমস্যার কথা বিধানসভায় পৌঁছন না। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে নেতা সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করবেন। তাঁকে প্রার্থী করার আবেদন জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই নিজের প্রার্থী নিজে বাছার জন্য আবেদন এবং ভোটের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। ‘তৃণমূলে নব জোয়ার’ কর্মসূচিতে চলছে জায়গায় জায়গায় ভোটগ্রহণ।

 

 

 

spot_img

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...