Thursday, August 21, 2025

অভাবেও হারায়নি প্রতিভা! ‘অবাক’ জুতো আবিষ্কার হুগলির ক্ষুদে পড়ুয়ার

Date:

Share post:

নতুন জুতো আবিষ্কার করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিল হুগলির (Hoogly) চন্দননগরের (Chandannagar) এক ক্ষুদে পড়ুয়া। হুগলি চন্দননগরের বারাসাত দেপারার নবম শ্রেণীর ছাত্র সৌভিক শেঠ (Souvik Seth) এমনই এক জুতোর আবিষ্কার করেছে। যা পরে হাঁটলেই তার থেকে উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ (Electric)। পাশাপাশি সেই বিদ্যুৎ দিয়েই মোবাইল চার্জ (Mobile Charging), জিপিএস ট্রাকিং (GPS Tracking) থেকে শুরু করে ক্যামেরা সবকিছুই চার্জ দেওয়া যাবে। আর হুগলির পড়ুয়ার এমন আশ্চর্য আবিষ্কারে কার্যত তাক লেগেছে রাজ্যবাসীর।

জানা গিয়েছে, পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় তার মামার কাছে ইলেকট্রনিক্সের (Electtonics) কাজ দেখতো সৌভিক। আর সেখান থেকেই এই ইলেকট্রনিক্সের প্রতি আগ্রহ জাগে তার। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বিজ্ঞান প্রদর্শন পুরস্কার পেয়েছেন চন্দননগর কানাইলাল স্কুলের ইংরেজি বিভাগের এই পড়ুয়া। সৌভিকের দাবি, এই জুতো পড়ে হাঁটলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যাবে। একটি ২ হাজার এমএএইচ ব্যাটারি সহজেই চার্জ হয়ে হবে। সৌভিক আরও জানিয়েছেন, শুধুমাত্র এক কিলোমিটার হাঁটলেই চার্জ হবে এই ব্যাটারি। আপাতত এই স্মার্ট জুতোর পুরো সিস্টেমটা বাইরে থেকে করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে সমস্ত গ্যাজেটকে জুতোর সোলের মধ্যে ঢুকিয়ে নতুন করে তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যে সেই কাজও শুরু করে দিয়েছে সৌভিক। তবে এর জন্য প্রয়োজন একটি জুতো প্রস্তুতকারক সংস্থার। যারা আর্থিকভাবে সৌভিককে সাহায্য করবে। যা জুতোর দুনিয়ায় নতুন দিশা আনবে। আর এই নতুন জুতো পরে উপকৃত হবেন ভ্রমণে বা পর্বতারোহনে বেরোনো যাত্রীরা।
সৌভিক আরও জানায়, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে এই স্মার্ট সু তৈরি করা হয়েছে। এই জুতার মধ্যে জিপিএস সিস্টেম রয়েছে যা শিশুদের ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধার। অনেক সময় শিশু চুরি হলে তা খুঁজে পেতে অনেকটা সময় লাগে। কিন্তু এই স্মার্ট শুরু পরানো থাকলে তা সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয় পরিবারের লোক দেখতে পাবে তার শিশু কোথায় রয়েছে। পাশাপাশি জুতোয় স্পাই ক্যামেরা (Spy Camera) লাগানো রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে আইটিআই নিয়ে পড়ার ইচ্ছা রয়েছে সৌভিকের। যদি কোন বড় কোম্পানি যোগাযোগ করে তাহলে তার এই কাজ সার্থক হবে বলে মনে করছে সৌভিক। আপাতত এই জুতোকে কীভাবে আরও আধুনিক করা যায় সেটাই লক্ষ্য সৌভিকের।

তবে সৌভিকের এই স্বপ্নপূরণের পথে একমাত্র বাধা অর্থ। বাবা স্বরূপ শেঠ একজন দরিদ্র জুটমিল শ্রমিক ছিলেন। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে জাপানের এক গবেষণা কেন্দ্র তাকে ডেকে পাঠিয়েছে। কিন্তু সবকিছুর মধ্যে এখনও অন্তরায় হয়ে দাড়াচ্ছে সেই টাকার সমস্যা।

 

 

spot_img

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...