দীর্ঘ ৪ বছর পর প্রথম কোনও রাজ্যে নির্বাচনী সভা করলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। শনিবার প্রচারে কর্নাটকে হুবলীতে এসে কড়া সুরে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। জানালেন, কোনও নেতার আশীর্বাদের প্রয়োজন নেই কর্নাটকের। কারণ এই রাজ্য নিজের পরিশ্রমের উপর ভরসা করে। আগামী ১০ মে দিন আসছে। যারা এই রাজ্যকে লুঠ করেছে তাদের জবাব দেবে মানুষ।

সম্প্রতি কর্নাটকে ভোট প্রচারে এসে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা দাবি করেছিলেন, “কর্নাটকের মানুষ বিজেপিকে না জেতালে এই রাজ্য নরেন্দ্র মোদির আশীর্বাদ পাবে না।” নাড্ডার সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে এদিন কড়া সুরে তার জবাব দেন সোনিয়া। বলেন, “কর্নাটক এমন একটি রাজ্য যার প্রয়োজন নেই কোনও নেতার আশীর্বাদের। এই রাজ্য নিজের পরিশ্রমের উপর ভরসা করে। বিজেপির এই ‘অন্ধকার রাজের’ বিরুদ্ধে সকলকে আওয়াজ তুলতে হবে।” পাশাপাশি বিজেপিকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “শাসকের আসনে বসে থাকা নেতাদের ডাকাতি করাটা কার্যত ধান্ধায় পরিণত হয়ে গিয়েছে। ডাকাতি করেই এরা ক্ষমতা কেড়েছে। তারপর থেকে এদের সরকার জনতাকে লুঠ করতে উঠেপড়ে লেগেছে।”

শুধু তাই নয়, ভারত জোড়ো যাত্রার প্রসঙ্গ তুলে এদিন সোনিয়া বলেন, “এই যাত্রার পর বিজেপির সরকার ভয় পেয়েছে। তারপর থেকে এরা দমন পীড়ন নীতি শুরু করেছে। এদের নেতারা কোনও প্রশ্ন ও চিঠির জবাব দেয় না। দেশের সাংবিধানিক সংস্থাগুলিকে পকেটে পুরে রেখেছে এরা। কোথাও দেখেছেন এমন গাজোয়ারি? গণতন্ত্র কি এভাবে চলতে পারে?” এরপর তিনি আরও যোগ করেন, “আজ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে নেমে এসেছে যে এরা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। এরা বলে যদি কর্নাটকে বিজেপি না জেতে তবে মোদির আশীর্বাদ পাবে না। এরা বলে বিজেপি না জিতলে এখানে দাঙ্গা হবে। কর্নাটকে মানুষকে আপনারা এতটা অসহায় ভাববেন না। কর্নাটকের মানুষ কোন মাটিতে গড়া তা টের পাবেন ১০ মে।”