Monday, November 10, 2025

বিশ্বে একনম্বর হবে: বেথুন স্কুলকে ‘বঙ্গরত্ন’ পুরস্কার মুখ্যমন্ত্রীর, ১০লক্ষ টাকা অনুদান শিক্ষা দফতরের

Date:

Share post:

বেথুন কলেজিয়েট স্কুল একদিন বিশ্বে একনম্বর হবে। বুধবার, স্কুলের ১৭৫ তম বর্ষের অনুষ্ঠানে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নারীশিক্ষায় ধারাবাহিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি স্বরূপ বেথুন স্কুলকে ‘বঙ্গরত্ন’ পুরস্কার দিলেন ভারতের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। যার পুরস্কার মূল্য ২ লক্ষ টাকা। এছাড়া স্কুলের উন্নয়নে শিক্ষা দফতরের তরফে ১০ লাখ টাকা অনুদান ঘোষণা করা হয়। বাংলার বিরুদ্ধে মোদি সরকারের সব রকম কুৎসার জবাব দিয়ে মমতা এই স্কুলের ১৭৫ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu), নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja), সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee), মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্র সচিব গোপালিকা, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ অন্যান্যরা। ছিলেন বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রী ও শিক্ষিকারা।

এদিনের অনুষ্ঠান দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমভাগে স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রীরা সমবেত সঙ্গী পরিবেশন করেন। ছিল বিশিষ্ঠ শিল্পী তথা বেথুন স্কুলের প্রাক্তনী রাজশ্রী ভট্টাচার্যের একক সঙ্গীত। দর্শকাসনে তখন বিশিষ্ট প্রাক্তনী সাংসদ দোলা সেন, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়, ভদ্রা বসু-সহ অন্যান্যরা। আক্ষরিক অর্থে ৮ থেকে ৮০র উপস্থিতিতে বর্ণময় ইন্ডোর স্টেডিয়াম।

মুখ্যমন্ত্রীর আসার পরে অনুষ্ঠানের উদ্দীপনা আরও বেড়ে যায়। মঞ্চে জন এলিয়েট ড্রিঙ্ক ওয়াটার বেথুন, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান মমতা। প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। বেথুন স্কুলের ইতিহাসের উপর নির্মিত তথ্যচিত্রের প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বেথুন স্কুলের পথচলা নিয়ে লেখা একটি কফি টেবিল বুক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

যখন বাংলাকে ছোট দেখানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। তখন বাংলার গৌরবোজ্জ্বল অতীত স্মরণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার না হলে সমাজ এগোতে পারে না। বিদ্যাসাগর নারীশিক্ষার প্রসার ঘটিয়েছিলেন। সতীদাহ প্রথা নিবারণ করেছিলেন রাজা রামমোহন রায়। সংবিধানের প্রণেতা আম্বেদকর এখন থেকেই পার্লামেন্টে গিয়েছিলেন। জয় হিন্দ স্লোগান নেতাজির। বন্দে মাতরম লিখেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। দুটো দেশের জাতীয় সঙ্গীত রচনা করেছিলেন রবিঠাকুর। গান্ধীজি freedom at mid night করেছিলেন বেলেঘটারর বাড়িতে বসে। বাংলার একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এখন মেয়েরা ঘর চালায়, প্লেনও চালায়। আমাদের মেয়েরা আজ কন্যাশ্রী, রূপশ্রী। বেথুন স্কুলের ঐতিহ্যের স্বীকৃতি হিসেবে ভারপ্রাপ্য প্রধান শিক্ষিকার হাতে ‘বঙ্গরত্ন’ পুরস্কার দেন মুখ্যমন্ত্রী।

spot_img

Related articles

ধর্মীয় বই কিনতে গিয়ে ২ কোটি টাকার প্রতারণার ফাঁদে কলকাতা ইসকন! গ্রেফতার ১ 

ধর্মীয় বই কেনার অর্ডার দিতে গিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার হল কলকাতা ইসকন। অভিযোগ, অর্ডার অনুযায়ী...

বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের সৌজন্যে হারানো পুলিশের চাকরি ফিরে পাচ্ছেন বাবা

কয়েকদিন আগেই আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ(ICC World Cup)  জিতেছে ভারতীয়  মহিলা দল। মেয়েদের সাফল্যে গর্বিত মা-বাবারা। তবে বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের...

গ্যাস-সমস্যায় নিঃশ্বাসের পরীক্ষা: যুগান্তকারী আবিষ্কারে বিশ্বে স্বীকৃতি বাঁকুড়ার চিকিৎসকের

একটি সাধারণ সমস্যা, যাতে জর্জরিত বর্তমান যুবসমাজ থেকে শিশুরা পর্যন্ত। গ্যাস বা গ্যাসট্রাইটিসের মতো সমস্যা নির্ধারণ করার জন্য...

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে বাড়তে পারে আসন সংখ্যা, জানালো এসএসসি 

রাজ্যের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী,...