পুরো পরিবারকে গ্রে.ফতার করলেও মাথা নত করব না: গ.র্জে উঠলেন অভিষেক

শিক্ষক দুর্নীতিতে সবচেয়ে বড় সুবিধেভোগী শুভেন্দু অধিকারী: অভিষেক

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও যেদিন সকালে স্ত্রী রুজিরা বন্দোপাধ্যায়কে (Rujira Bandyopadhyay) বিদেশ যেতে আটকে হাতে তলবের নোটিশ ধরিয়েছে ED, সেই সোমবার সন্ধেয় সিঙ্গুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গর্জে উঠলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। একইসঙ্গে সব জানিয়ে দিলেন তাকে তার স্ত্রীকে এমনকি সন্তানদের গ্রেফতার করলেও মাথা নত করবেন না।

এদিন, সিঙ্গুরে BJP ও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অভিষেক। স্ত্রীকে বিমানবন্দরে আটকানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিষেক। বলেন, তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে এঁটে উঠতে না পেরে পুরো পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছে। “আমার স্ত্রী, ছেলে-মেয়েদের দোষ কী? আমার ২ বছরের ছেলে ও ৯ বছরের মেয়েকেও আটকানো হয়েছে! আমার সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে পেরে না উঠে আমার স্ত্রী, সন্তানদের আটকানো হচ্ছে। কিন্তু আমি মাথা নত করব না”।

তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে বিপুল জনজোয়ার আর তাই দেখেই ভয় পেয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কটাক্ষ করে বলেন, “গত ১২ মাসে আমার স্ত্রীকে ডাকেনি ইডি। এখন আমার নবজোয়ার কর্মসূচি আটকাতে এসব করা হচ্ছে। এসব করলে আমি আরও দ্বিগুণ ভাবে নবজোয়ার কর্মসূচি করে যাব। এসব করে আমায় আটকানো যাবে না।”

এরপরে বিরোধীদল নেতাকে তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, বিরোধী দলনেতা বলছেন আমার স্ত্রী সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল। বিমানবন্দরে তো ৫০০ সিসি ক্যামেরা আছে। পারলে প্রমাণ করুক যে ২ গ্রাম সোনা পাচার হয়েছে।বিমানবন্দর তো সিআইএসএফ-এর হাতে।”

এদিন অভিষেক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, ক্ষমতা থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে যা প্রমাণ আছে সেটা জনসমক্ষে নিয়ে আসুক। আর গরু পাচার, কয়লা পাচার নিয়ে লাফাচ্ছে বিজেপি কিন্তু এগুলো তো কেন্দ্রের অধীনে।তাহলে কে দায়ী? কে চুরি করেছে? উত্তর দিক। যাঁকে প্রকাশ্যে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে ইডি সিবিআই তদন্ত করে ডাকুক। যে শুভেন্দু অধিকারীর নাম সুদীপ্ত সেন চিঠি লিখে জানিয়েছে তাঁকে একবারও ডাকা হয়নি। এরপরেই তোপ থেকে তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, বার বার সব জায়গায় প্রমাণিত হয়েছে SSC দুর্নীতিতে সব থেকে বেশি লাভবান হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকেও বেশি দুর্নীতিতে জড়িত ও। তাঁর সংযোজন, এই দুর্নীতিতে ৯০ শতাংশ যেসব দালালের নাম উঠে আসছে তারা পূর্ব মেদিনীপুরের। চাকরি হয়েছে বেশিরভাগ পূর্ব মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদের। দলের তরফে এই দুই জেলায় শুভেন্দু দায়িত্বে ছিল।

এদিন অভিষেক অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আপনার ক্ষমতা থাকলে আমায় গ্রেফতার করুন। আমি আদালতে লড়ে নেব।  প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, আপনার বয়স ৭২ আমার ৩৬। আপনার যা রাজনৈতিক জীবন আমি সেই বয়সি। এর পরেও আপনার চেয়ারকে সম্মান জানিয়ে বলব, আপনি আমার সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে না পেরে আমার পরিবারকে টার্গেট করেছেন। আমি বলব, আপনার যত ক্ষমতা আছে প্রয়োগ করুন। আমি মাথা নত করব না।

আরও পড়ুন- CMM কোর্ট থেকে সারদাকর্তার চিঠির কপি নিল CBI, শুভেন্দুকে গ্রে.ফতারের দাবি কুণালের

Previous articleবিশ্ব পরিবেশ দিবসে প্লাস্টিক বন্ধে পথে নামলেন অধ্যক্ষা
Next articleনতুন সংসদ ভবনে নতুন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সওয়াল তৃণমূল নেতৃত্বের