কুড়মি নেতাদের সামনে রেখে পঞ্চায়েত ভোটের পালে হাওয়া টানা চেষ্টা বামেদের!

বিগত কয়েকটি নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় দেখা যাচ্ছে এত শতাংশ কুড়মি জনজাতির নেতা ছিলেন না। শুধু তাই নয়, এবার RSP বা CPI-কে কোনও আসন ছাড়া হয়নি।

গত বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য। উপনির্বাচনে একজন জোট প্রার্থী জিতলেও, তিনি আবার শাসকদলে চলে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটে হাল পানি পেতে শেষে কুড়মি-মাহাত জনজাতির উপর ভরসা করছে বামেরা (Left)। পুরুলিয়ায় (Purulia) জেলা পরিষদের ৪৫টি আসনের মধ্যে ১৮টিতেই কুড়মি-মাহাতো জনজাতির নেতাদের প্রার্থী করল বামফ্রন্ট।

আদিবাসী তালিকাভুক্ত করার দাবিতে গত কয়েকমাস যাবৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কুড়মিরা। কুড়মি জনজাতির মঞ্চকে ব্যবহার করে কোনও রাজনৈতিক প্রচার হবে না বলে আগে বলেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরুলিয়ায় জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই দেখা গেল, ৪৫টি আসনের মধ্যে ১৮টিতেই কুড়মি নেতাদের প্রার্থী করেছে বামেরা। যদিও পুরুলিয়া জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা CPIM-এর জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায়ের (Pradip Ray) মতে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তাঁদের প্রার্থী ছিলেন কুড়মি নেতারা। কিন্তু বিগত কয়েকটি নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় দেখা যাচ্ছে এত শতাংশ কুড়মি জনজাতির নেতা ছিলেন না। শুধু তাই নয়, এবার RSP বা CPI-কে কোনও আসন ছাড়া হয়নি।

জঙ্গলমহলের শান্ত পরিস্থিতিকে অযথা উত্তপ্ত করার চেষ্টা চলছে। কুড়মিদের (Kurmi) আদিবাসী তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি কেন্দ্রের আওতাধীন। রাজ্যের তরফ থেকে তার জন্য প্রয়োজনীয় যে চিঠি পাঠানোর কথা তা এর মধ্যে দুবার পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেই কথায় কর্ণপাত না করে থেকে থেকে রেল-সড়ক অবরোধ করা হচ্ছে। এতদিন তা রাজনৈতিক ব্যানারে হয়নি। কিন্তু এবার বামেদের প্রার্থী তালিকা দেখে রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ, অশান্তি জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পিছন থেকে মদত দিচ্ছে বামেরা।