কর্নাটকে বিপুল জয়ের পর আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেসের নজরে এখন মধ্যপ্রদেশ(MadhyaPradesh)। ঘোড়া কেনাবেচার অঙ্কে মধ্যপ্রদেশে শাসন চুরি করা বিজেপিকে(BJP) গোহারা হারাতে কংগ্রেসের(Congress) অস্ত্র সেই মহিলারাই। ইতিমধ্যেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর(Priyanka Gandhi) নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশে প্রচারে নেমে পড়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বরা। এবং জনমুখি প্রকল্পকে হাতিয়ার করেই প্রথম দফার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করে দিল কংগ্রেস। যা অনেকটা বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে সমতুল। প্রিয়াঙ্কা ঘোষণা করেছেন, কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরলে মহিলাদের মাসে ১৫০০ টাকা করে দেবে। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার দেওয়া হবে ভরতুকি মূল্যে। মাসে একটি সিলিন্ডার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য কোনও মাশুল দিতে হবে না।

সদ্য শেষ হয়া কর্নাটক নির্বাচনেও একের পর এক জনমুখি প্রকল্পকে সামনে রেখেছিল কংগ্রেস। এই তালিকায় মহিলাদের ভাতার পাশাপাশি ছিল বেকার যুবকদের মাসে ৩ হাজার টাকা করে প্রতিশ্রুতি। কংগ্রেসের তরফে একের পর এক এই ঘোষণার পর নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ্যে আশার পর দেখা যায় বিজেপকে হারিয়ে বিপুল জয় পেয়েছে কংগ্রেস। ফলস্বরুপ জনমুখি প্রকল্পকে হাতিয়ার করেই এবার আসন্ন মধ্যপ্রদেশ সহ অন্যন্য রাজ্যগুলিতে ঝাপিয়ে পড়ল হাত শিবির।

উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশে গত বিধানসভা ভোটেও বিজেপির তুলনায় বেশি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা কমলনাথ। তার পর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ভেঙে বেশ কিছু বিধায়ক নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে কমলনাথ সরকার। এবং সরকারের পতন ঘটে। ওই ঘটনা অনৈতিক বলেই সমালোচনা করেছিলেন বহু মানুষ। এবার ফের ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে নেমেছে কংগ্রেস। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এবার মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ভোট কুশলী হিসাবে ব্যবহার করছে সুনীল কানুগোলুকে। কর্নাটকে প্রচারের কৌশল রচনায় সুনীলই ছিলেন কাণ্ডারী। মধ্যপ্রদেশে নির্বাচন মোটামুটি ভাবে নভেম্বর মাসে হওয়ার কথা। কিন্তু কংগ্রেস যেভাবে ৬ মাস আগে থেকে প্রচারে নেমেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে জাতীয় দল এবার কতটা সিরিয়াস।
