কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদালত বলে দিতে পারে না,মত কমিশনের: স্থগিত রায় দান

এদিন পঞ্চায়েত মামলার দ্বিতীয় দফার শুনানিতে কমিশনের আইনজীবী বলেন, সুষ্ঠু ভোট করাতে নিরাপত্তার বিষয়টি কমিশন বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদালত বলে দিতে পারে না।

টানা সাড়ে চার ঘণ্টা শুনানি শেষে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট হবে কিনা সে বিষয়টি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপরেই ছাড়ল কলকাতা হাইকোর্ট।এরই পাশাপাশি রায় দান স্থগিত রাখল হাইকোর্ট। আদালতে এই দাবি নিয়ে বিরোধীদের দায়ের করা মামলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে জোরালো দাবি করলেও এব্যপারে স্পষ্ট কোনও নির্দেশ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট।

এদিন পঞ্চায়েত মামলার দ্বিতীয় দফার শুনানিতে কমিশনের আইনজীবী বলেন, সুষ্ঠু ভোট করাতে নিরাপত্তার বিষয়টি কমিশন বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদালত বলে দিতে পারে না। এর আগে পুরসভার ভোটের সময়ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্ট কমিশনের উপরেই স্বাধীনতা দিয়েছিল। প্রধান বিচারপতি পাল্টা জানতে চান, হাইকোর্ট তো এটাও বলেছিল কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটলে নির্বাচন কমিশন দায়ী থাকবে। কোনও অশান্তি কি তখন হয়নি?

এরই পাশাপাশি, নির্বাচনে সিভিক ভলান্টিয়ার বা চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদের ভোটের কাজে ব্যাবহার করার বিরুদ্ধে মত দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম।তিনি বলেন, আমরা চাই কোনও চুক্তিভিত্তিক কর্মী বা সিভিক ভলান্টিয়ার কোনও ভাবেই এই নির্বাচনে যেন অংশ না নেয়। এই নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে তাঁদের বাদ রাখা হোক। কমিশন এই বিষয়টি বিবেচনা করে দেখুক।

আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলেছে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যবহার করা হবে না। তবে তাদের যুক্তি, ভোটকর্মীর অভাব হলে ঘাটতি মেটাতে চুক্তিভিত্তিক কর্মী, এনসিসি-র ছেলে, সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করতে পারে কমিশন।

সোমবার শুনানির দ্বিতীয় পর্বে,পঞ্চায়েত ভোটের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ার, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের কেন ব্যবহার করা হবে? কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে প্রশ্ন তুললেন তৃতীয় জনস্বার্থ মামলাকারী। তার আইনজীবী সুবীর সান্যালের প্রশ্ন, ‘‘উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ছাড়া কী ভাবে ওই কর্মীরা ভোটের কাজে অংশ নিতে পারেন। এটা জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের পরিপন্থী। এর আগেও তাঁদের ব্যবহার করা হয়েছে।’’ যদিও গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কর্মীদের ভোটের কাজে লাগিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

পঞ্চায়েত ভোটে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার পক্ষে আর্জি জানাল কংগ্রেস। কংগ্রেসের আইনজীবী ঋজু ঘোষাল বলেন, আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হোক। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভিতরের পাশাপাশি বাইরেও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হোক।সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে ভোট করানো নিয়ে প্রশ্ন তুলল সিপিএমও। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের পাশাপাশি অন্যান্য জনস্বার্থ মামলাকারীরাও আপত্তি তুলেছেন ভোটে সিভিক ভলান্টিয়ার বা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ব্যবহার করা নিয়ে।