একটি- দুটি নয় একেবারে ৪০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ঘরে ফিরলেন মধ্যপ্রদেশের দাপুটে নেতা বেইজনাথ সিং। ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে ঘরে ফিরেই বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার এই অনুগামী। যদিও দলবদলের চেয়ে তাঁর এই জাঁকজমকপূর্ণ প্রত্যাবর্তন ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে।

২০২০ সালে তৎকালীন বিদ্রোহী কংগ্রেস (Congress) নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নেতৃত্ব কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছিলেন তাঁর অনুগামীরা। যার জেরে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতাচ্যুত হয় কংগ্রেস। এই দলবদলুদের তালিকায় ছিলেন বৈইজনাথ। তবে বিজেপিতে যোগ দিয়ে সিন্ধিয়া কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রীর পদ পেলেও বাকিদের কপালে কিছু জোটেনি। এদিকে কর্নাটকে জয়ের পর মধ্যপ্রদেশেও বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নিজের ঘর গোছাতে কংগ্রেসে পা রাখছেন পুরনো দলত্যাগীরা। এছাড়াও সূত্রের খবর, শিবপুরীর বাহুবলী নেতা বৈইজনাথকে বিজেপি প্রার্থী করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই সময় থাকতে কংগ্রেসের দরজায় করাঘাত করলেন বৈইজনাথ। বুধবার দলীয় সভায় তাঁকে স্বাগত জানান কমলনাথ, দিগবিজয় সিংয়ের মতো রাজ্যের শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা।

উল্লেখ্য, শিবপুর থেকে ভোপালের দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার। ভোপালে দলীয় সভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসে যোগ দেন বৈইজনাথ এবং তাঁর ১৫ জন অনুগামী। ৪০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে সাইরেন বাজিয়ে ওই সভায় আসেন দাপুটে নেতা। অভিনব কনভয়ের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বহু মানুষ বিরাট কনভয়ের ভিডিও পোস্ট করেন। যা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ক্ষমতা প্রদর্শনেই এই কৌশল, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
