বাংলাদেশ(Bangladesh) থেকে ভারতে(India) এসে নাগরিকত্বের নথি জাল করে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি করছেন। চাঞ্চল্যকর এমনই অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা উৎপল মন্ডলের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনা আদালতে যাওয়ার পর ওই শিক্ষকের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(justice Abhijeet Ganguly)।

মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলায় শিক্ষকের বেতন বন্ধ করার নির্দেশের পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষক যাতে স্কুলে ঢুকতে না পারেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার স্কুল পরিদর্শককে (ডিআই) তাও নিশ্চিত করতে বলেছে আদালত। শুধু তাই নয় আগামী ৪ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি যাতে আদালতে হাজিরা দেন তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপারকে। মামলায় জেলা শাসককে পক্ষভুক্ত করে এবিষয়ে তাঁর কাছে রিপোর্টও তলব করেছে আদালত।

এই মামলায় মামলাকারী বিমল সরকারের আইনজীবীর অভিযোগ, “তাঁর মক্কেলের যোগ্যতা থাকার সত্বেও তিনি নিয়োগ পাননি। অবশ্য সেখানে চাকরি করছেন একজন বাংলাদেশী। তথ্য জানার আইনে তিনি জানতে পেরেছেন বিতর্কিত ওই শিক্ষক উৎপল মণ্ডল বাংলাদেশেই পড়াশোনা করেছেন। ২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে ‘এইট’ পাশ করে এদেশে এসেছেন। পরে দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি স্কুল থেকে জালিয়াতি করে মাধ্যমিক পাশের জাল শংসাপত্র জোগাড় করেন।” গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়ে আইনজীবী দাবি, “অভিযুক্ত উৎপল মণ্ডল বর্তমানে জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।” তার নিয়ম সম্পূর্ণ অবৈধ বলে দাবি করেছেন মামলাকারীর আইনজীবী।
