অতিমারি(Pendemic) কিছুটা থিতু হলেও এর প্রভাব এখনও পুরোপুরি স্বস্তি পায়নি বিশ্ব। এরই মাঝে এবার নতুন করে অতিমারি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হল। এবারও সেই চিনের দিকেই উঠল অভিযোগের আঙুল। জানা গিয়েছে, চিনের এক গুহায় বাদুড়ের দেহে নতুন দু’টি করোনা ভাইরাস আবিষ্কার করেছেন এক দল বিজ্ঞানী। যা মানবজাতির জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, কোভিডের(Covid) উৎস সন্ধানে নেমে চিনকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিল মার্কিন রিপোর্ট(American Report)। যেখানে জানানো হয়েছে, বিশ্বজুড়ে যে প্রাণঘাতী সংক্রামক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল তার উৎস হয়ত উহানের গবেষণাগার নয়।

বৈজ্ঞানিক মহলের তরফে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে দক্ষিণ চিনের একটি গুহায় ১১২টি বাদুড়ের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই নমুনাগুলির মধ্যে সাতটি বাদুড়ের দেহে নতুন দু’টি করোন ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের যে যে বৈশিষ্টের জন্য কোভিড এত সংক্রামক রোগ হিসাবে চিহ্নিত, সেই একই বৈশিষ্ট সিডি৩৫ এবং সিডি৩৬, নয়া আবিষ্কৃত ভাইরাসেও রয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই দুই ভাইরাসের সঙ্গে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ৫৪ শতাংশ মিল রয়েছে। তবে, এগুলি মানুষকে সংক্রামিত করতে পারে কি না, সেই প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার জন্য শুরু থেকেই চিনের দিকে অভিযোগ তুলেছিল বিশ্ব। অভিযোগ করা হয়েছিল উহানের একটি ল্যাবে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয় এই ভাইরাস। যা পরে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং কোটি কোটি মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। এই ঘটনায় তদন্তও শুরু করে আমেরিকা। উহানের ল্যাব থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীরা। তবে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর এদিন মার্কিন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, হয়ত উহানের সেই ল্যাব থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ায়নি। মার্কিন এই রিপোর্ট নিশ্চিতভাবেই কিছুটা হলেও স্বস্তির চিনের জন্য।
