Wednesday, November 12, 2025

দূষণ রুখতে এবার ব্যাটারি চালিত ভেসেল কিনতে চলেছে রাজ্য

Date:

Share post:

বৃহত্তর কলকাতায় দূষণ কমাতে রাজ্য সরকার হুগলি নদীতে যাত্রী পরিবহণে ব্যবহৃত পুরনো ডিজেল চালিত ভেসেলগুলিকে ধাপে ধাপে বাতিল করে নতুন ব্যাটারি চালিত বৈদ্যুতিক ভেসেল চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে এধরনের ১৫টি ভেসেল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ জলপথ পরিবহণকে ঢেলে সাজাতে এক হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে পরিবহণ দফতর। যার মধ্যে ৭০০ কোটি টাকা বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে পাওয়া গিয়েছে। ওই প্রকল্পের আওতাতেই দূষণ সৃষ্টিকারী পুরনো লঞ্চ ও ভেসেলগুলিকে বদলে ফেলে দূষণমুক্ত বৈদ্যুতিক জলযান চালানোর পরিকল্পনা বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, নতুন ১৫টি ভেসেলের মধ্যে কলকাতায় গঙ্গা পারাপারের জন্য ২৫০ জন যাত্রী পরিবহণের ক্ষমতাসম্পন্ন ৮টি ভেসেল কাজে লাগানো হবে। ১০০ আসন বিশিষ্ট পাঁচটি ভেসেল শহরতলিতে যাত্রী পরিবহণ করবে। যথাক্রমে ৭৫ ও ১৫০ আসন বিশিষ্ট দুটি ক্যাটারামান ধাঁচের ভেসেলকে পর্যটনের জন্য ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ব্যাটারির পাশাপাশি বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রত্যেকটি ভেসেলে থাকছে শক্তিশালী জেনারেটর।

পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহত্তর কলকাতায় হুগলি নদীতে যাত্রী পরিবহণে বর্তমানে ১৩৮টি ভেসেল ব্যবহার করা হয়। যার অর্ধেকের বয়স ৩০ বছরের বেশি। ১৯৭৮ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে তৈরি এই ডিজেল চালিত ভেসেলগুলি অত্যধিক দূষণ ছড়ায়। এগুলিকেই সবার আগে বিদায় করতে চায় পরিবহণ দফতর। ২০১১-র পরে কেনা ভেসেলগুলিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, ডিজেল চালিত ভেসেলের তুলনায় বৈদ্যুতিক ভেসেলের দাম অনেকটাই বেশি। যেখানে একটি ডিজেল ভেসেলের দাম সাড়ে প্রায় চার কোটি টাকা, সেখানে বৈদ্যুতিক ভেসেলের এক-একটির দাম ১২ কোটির কাছাকাছি। কিন্তু দূষণ ছড়ানোর নিরিখে একেবারে শূন্যের কাছাকাছি থাকা বৈদ্যুতিক ভেসেলগুলি আখেরে খরচ কমাবে বলে তাঁরা মনে করছেন। পরিবহণ কর্তাদের ব্যাখ্যা, এক-একবার গঙ্গা পারাপার করতে ডিজেল চালিত ভেসেলের ৩০-৩৫ লিটার তেল খরচ হয়। নতুন বৈদ্যুতিক ভেসেলে চার্জ দিতে সেই তুলনায় যে বিদ্যুৎ খরচ হবে তা যৎসামান্য।

আরও পড়ুন- বীরভূমে নির্দল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁ.শিয়ারি শতাব্দীর

spot_img

Related articles

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...

সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা বাড়াতে চালু হচ্ছে জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা! নির্দেশিকা জারি নবান্নের 

সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও তদারকিতে আরও স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। নবান্নের নির্দেশে এবার থেকে রাজ্যের...

মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি! ‘নারীবিদ্বেষী’ শান্তনু ঠাকুরের ইস্তফার দাবি তৃণমূলের

বিজেপি বাংলাকে সম্মান করে না। এই বিজেপি মহিলাদেরও সম্মান করে না, করতে জানেও না। সেটা আরও একবার প্রমাণ...