মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সোমবার, সন্ধেয় এই বৈঠক। অন্য বৈঠকের থেকে এর পার্থক্য- এতে ক্যাবিনেট মন্ত্রী, স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীদের পাশাপাশি ডাক পেয়েছেন প্রতিমন্ত্রীরাও। আর সেই থেকে জল্পনা মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সে ক্ষেত্রে বাংলার ২ প্রতিমন্ত্রীর ঘাড়ে কোপ পড়তে পারে বলে জল্পনা। ৫ রাজ্যের নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এই রদবদল করতে পারেন মোদি-শাহরা।

বাংলা থেকে এই মুহুর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ৪ জন রয়েছেন।
• কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক- স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
• আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা- সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী
• বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার- শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
• বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর – বন্দর ও জাহাজ প্রতিমন্ত্রী
সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার রদবদল হলে বাংলা থেকে একাধিক প্রতিমন্ত্রী বাদ পড়তে পারেন। তার বদলে কোনও নতুন মুখ মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন কি না তা স্পষ্ট নয়। সেক্ষেত্রে রাজ্য থেকে কেউ আসবেন কি না তা জানা যায়নি।
এর আগে বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ও রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী (Debashree Chowdhury)। কিন্তু একুশের বিধানসভা ভোটের পরে বাংলার নতুন চার সাংসদকে মন্ত্রী করে পরিস্থিতি সামাল দিতে চান মোদি-শাহরা। সে ঘটনার পিছনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরামর্শ ছিল বলে মত বঙ্গ বিজেপির।

তবে এবার নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) তুলনায় বাদ পড়ার সম্ভাবনা বেশি শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur)। কারণ, কদিন আগেই নিশীথের নিরাপত্তা বাড়িয়ে জেড প্লাস করা হয়েছে। পাশাপাশি, নজরে জন বার্লাও আছেন বলে খবর। কারণ, উত্তরবঙ্গের ২ প্রতিমন্ত্রীর বদলে অন্য রাজ্যে কোনও বিজেপি সাংসদকে আনতে চাইছেন মোদি-শাহরা।

গত জুলাইয়ে মন্ত্রিসভায় বড়সড় পরিবর্তন হয়। বাদ পড়েছিলেন প্রকাশ জাভড়েকর, রবিশঙ্কর প্রসাদ, হর্ষ বর্ধনের মতো ১২ জন মন্ত্রী। এর পরেও আইন মন্ত্রক থেকে কিরেন রিজিজুকে, সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে মুখতার আব্বাস নকভিকে সরানো হয়েছে। তবে, এবারের রদবদল পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ও আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বলেই বিজেপি সূত্রে খবর। মিজোরাম, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান- ভোট রয়েছে এই বছরই। সেখানে বিজেপির পায়ের তলায় মাটি শক্ত নয়। সেই কারণেই সেখান থেকে বেশি সংখ্যায় সাংসদ মন্ত্রিসভায় আনতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের মন্ত্রী পরিষদের এই বৈঠকের আগে গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ। সুতরাং মন্ত্রিসভায় রদবদলের পাশাপাশি বিজেপির সাংগঠনিক স্তরেও বেশ কিছু বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে গুরু পূর্ণিমার সন্ধেয় হেভিওয়েট বৈঠকের দিকে নজর সারা দেশের।
