একদিকে অতি বৃষ্টিতে বন্যা, ধসে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশের একাংশ। অন্যদিকে ভারী তুষারপাতে আটকে বহু পর্যটক। গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যের লাহুল এবং স্পিতিতে ভারী তুষারপাত হচ্ছে।আর এই দুর্যোগের জেরে গত শনিবার থেকে ওই অঞ্চলে আটকে রয়েছেন শতাধিক পর্যটক।

আরও পড়ুনঃব্যালট বক্স হারিয়ে বিজেপি প্রার্থীর কান্না! খুঁজে দিল TMC, জেতার পরই তৃণমূল নেতাকে প্রণাম

বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু জানিয়েছেন, শনিবার থেকে লাহুল এবং স্পিতির চন্দ্রতালের কাছে আটকে রয়েছেন বহু পর্যটক। তাঁদের উদ্ধার করার জন্য সব রকম ভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পর্যটকরা কী অবস্থায় আছেন, সেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য হেলিকপ্টারে করে ওই অঞ্চল পরিদর্শন করেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সেই ভিডিয়ো টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি লাহুলের চন্দ্রতালের দৃশ্য। সেখানে যে তাঁবুগুলি দেখা যাচ্ছে সেগুলি পর্যটকদের শিবির। ভারী তুষারপাত এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পর্যটকদের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করার জন্য আমরা সব রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে হিমাচল প্রদেশের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টির জেরে রাজ্যের বেশির ভাগ জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।নদীগুলিতে জলস্তর বাড়ায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে জল। একটানা ভারী বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে পথঘাট, ভেসে গিয়েছে ঘরবাড়ি। ভূমিধসে ছিন্নভিন্ন পাহাড়ি এলাকা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। ব্যাপক বৃষ্টিতে বানভাসি হিমাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। রাস্তাঘাট ভেঙে পড়ায় বিচ্ছিন্ন বহু জেলা। নেই বিদ্যুৎ, জল, ইন্টারনেট পরিষেবা। বিভিন্ন জেলার ট্যুরিস্ট স্পটগুলিতে প্রচুর পর্যটক আটকে পড়েছেন। সরকারি তথ্য বলছে, অন্তত ৯০ জন মারা গেছেন এই রাজ্যে।
