যতক্ষণ না এসএসকেএমের তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে এই চিকিৎসা এই হাসপাতালে করা সম্ভব নয়, ততক্ষণ পর্যন্ত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা খুঁজে পাচ্ছে না আদালত।অথচ এসএসকেএমে হার্ট সার্জারিতে আপত্তি রয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। নিম্ন আদালতে আর্জি খারিজ হয়েছে আগেই। এবার হাইকোর্টও প্রশ্ন তুলল, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। বর্তমানে এসএসকেএম চিকিৎসাধীন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তার দাবি, তিনি বেসরকারি হাসপাতালে করাবেন বাইপাস সার্জারি। কিন্তু এসএসকেএম কেন নয়? অসুবিধা কোথায়? বৃহস্পতিবার এমনই প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এই বিষয়ে ইডি-র কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই নির্দেশ দেবেন বিচারপতি।

ইডি সুজয়কৃষ্ণের জন্য বোর্ড গঠন করবে কি না, তা জানতে চেয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টেয় আদালতে জানাবে ইডি।বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথমে প্যারোলে গিয়েছেন, তারপর জামিন পেলে খারাপ বার্তা যাবে। তদন্তে সমস্যা হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। স্ত্রী মারা যাওয়ায় গ্রেফতার হওয়ার মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে প্যারোলে গিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। বিচারপতি ঘোষ বলেন, “জামিন ছাড়াও হাসপাতালে চিকিৎসা সম্ভব। জামিন দিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠালে খারাপ বার্তা যাবে অন্য বন্দিদের কাছে।”

‘সুজয়কৃষ্ণ’র মেডিক্যাল রিপোর্ট আছে কি না, জানতে চেয়েছে আদালত। বিচারপতির প্রশ্ন, এসএস কেএম-এ কি এই চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই? উনি যে চিকিৎসককে দেখান তিনি কি ওই বেসকারি হাসপাতালে বসেন? এসএসকেএম থেকে কি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার করানোর?

প্রথমে মুকুন্দপুরের হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলেন কাকু। বৃহস্পতিবার আলিপুরের হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর আর্জি জানিয়েছেন। সুজয়কৃষ্ণের তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, মামলাকারীর পেসমেকার বসানো আছে। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়ে বলা আছে বন্দি তাঁর নিজের পছন্দের হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারেন। আপাতত ইডি-র রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে আদালত।
