Saturday, August 23, 2025

২০২৪-এর ভোটেও EVM হ্যা.কের আশঙ্কা মমতার, INDIA-র জয় নিয়ে আশাবাদী তৃণমূল সুপ্রিমো

Date:

Share post:

২০২৪-এর ভোটেও ইভিএম হ্যাক করতে পারে বিজেপি। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তৃণমূল সভানেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। এই বিষয়টি নিয়ে INDIA জোটের পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা হবে বলেও জানান মমতা। একইসঙ্গে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোটের জয়ের বিষয় আশাবাদী তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো।

দিল্লি অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সব্যসাচী দাস তাঁর গবেষণাপত্রে দাবি করেন, ২০১৯ সালে ভোটে কারচুপি করেই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। না হলে লোকসভা ভোটের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। এই প্রসঙ্গে এদিন তৃণমূল সভানেত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “EVM হ্যাক করার নানা পরিকল্পনা হচ্ছে। ‘INDIA’র পরবর্তী বৈঠকে এনিয়ে আলোচনা হবে।” তিনি জানান, পরবর্তী বৈঠকের দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি। তবে সেই বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে বিরোধী জোটে কথা হবে। মমতা বলেন, “ওরা ইলেকট্রনিক মেশিন হ্যাক করার নানা চেষ্টা করছে। আমাদের কাছেও এসেছে। কিছু প্রমাণ এসেছে, কিছু খুঁজছি। INDIA অ্যালায়েন্সের পরের মিটিংয়ে এই নিয়ে আলোচনা হবে।”

তবে একইসঙ্গে INDIA-র জয়ের বিষয় আশাবাদী মমতা। তাঁর মতে, “INDIA-ই জিতবে, দেশকে বাঁচাবে।” তৃণমূল নেত্রীর কথায়, “INDIA আমাদের দেশ। আমাদের এই বিরোধীদের জোট সেই মাতৃভূমির পক্ষে, মাতৃভূমির জন্য। দেশকে বাঁচাতে এই জোট। এখন ভারতের সর্বত্র আমাদের প্রতিনিধি রয়েছেন। হ্যাঁ, দিল্লিই আমাদের লক্ষ্য। আমরাই দিল্লিতে সরকার গঠন করব, তা হবে ভারত সরকার। এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তো। আমাদের জোটের পরের বৈঠকেও আমি যাব। আরও বিস্তারিত কথা হবে।”

বিভিন্ন জায়গায় জোর করে গেরুয়া চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে গেরুয়া পোশাক পরতে বাধ্য করা হচ্ছে কর্মীদের। মেট্রোতেও এই রীতি চালু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, তাঁরা গেরুয়া রংকে সম্মান করেন- সেটা ত্যাগের প্রতীক। তবে বিজেপি সেটাকে অত্যাচারের হাতিয়ার করছে- অভিযোগ মমতার। তিনি বলেন, “শুনলাম সমস্ত পেট্রল পাম্পে ইনস্ট্রাকশন গিয়েছে, যারা কাজ করবে তাদের সব গেরুয়া পোশাক পরতে হবে। বাইপাসের দিকে মেট্রো স্টেশনগুলো দেখে নিন, অর্ধেক গেরুয়া করে দিয়েছে। ৩৬ টি স্টেশন মডার্নাইজেশনের নামে গেরুয়া করার কাজ চলছে। এসব আমার আমলে পাশ হওয়া প্রকল্প। সারা দেশ যদি গেরুয়া হয়ে যায় তাহলে অন্য রংগুলো কোথায় যাবে? গেরুয়া রং পবিত্র রং। ত্যাগের প্রতীক। ত্যাগের প্রতীককে যদি ওরা অত্যাচারের প্রতি হিসেবে ব্যবহার করে তাহলে মানুষ মেনে নেবে না।”

 

 

 

 

 

spot_img

Related articles

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...

রাজ্যে শুরু SIR প্রস্তুতি: একাধিক পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের

গোটা দেশেই এসআইআর লাগু হবে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)। বিহারে ৬৫ হাজার...