Wednesday, November 12, 2025

রেলপথে কলকাতা থেকে সরাসরি বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরা, ট্রেন চলবে ২২ আগস্ট

Date:

Share post:

খায়রুল আলম , ঢাকা

এবার রেলপথে কলকাতা থেকে সরাসরি বাংলাদেশ হয়ে যাওয়া যাবে ত্রিপুরা রাজ্যে (Kolkata to Tripura via Bangladesh)। একদিকে কম সময় এই দূরত্ব অতিক্রম করা যাবে অন্যদিকে খরচও সাশ্রয় হবে। এরই অংশ হিসেবে আখাউড়া-আগরতলা (Akhaura Agartala) রেলপথে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে আগামী ২২ অগাস্ট। রেললাইনে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ।

রেলপথটি চালু হলে ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি সর্ম্পক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নব দিগন্তের সূচনা হবে। যদিও চূড়ান্তভাবে ট্রেন চলাচলে আরও কিছু সময় লাগবে। আখাউড়া-আগরতলা রুটের রেললাইনের স্লিপারের উপর পাথর ফেলা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মিটারগেজ ইঞ্জিনবগি দিয়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ ট্রায়াল দেওয়া হবে। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের টেক্সমেকো রেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ঊর্ধ্বতন সহকারী রিপন শেখ জানিয়েছেন, চলতি মাসের আগামী ২২ তারিখে আমরা মিটারগেজ রেলপথ ট্রায়াল হবে। যেটুকু জানা যাচ্ছে যে, প্রাথমিকভাবে মিটারগেজ ইঞ্জিনবগি দিয়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ ট্রায়াল দেওয়া হবে। সেটি হবে গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে শিবনগর পর্যন্ত। সেখানে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে দুই দেশের স্বপ্নের এই রেলপথ নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশের বাসিন্দাদের মধ্যে যেন আগ্রহের শেষ নেই। ভারতীয় নাগরিক ঋষিকেষ বলেন, এই রেললাইনটি হয়ে গেলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বাড়বে। জিনিসপত্র আদান-প্রদানের ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধা হবে।

আগরতলা-ত্রিপুরা-ভারতের ভুবনেশ্বরী টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা পাল চৌধুরী বলেন, রেলপথটি হয়ে গেলে ভ্রমণের জন্য দুই দেশেরই ভালো। এতে দুই দেশেরই অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্যও বাড়বে। এদিকে বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তরফে মনিরুল ইসলাম জানান, এখন প্রায় ১০ কিলোমিটার ট্রেন চালানোর মতো ব্যবস্থা হয়ে গেছে। আগামী ২২ আগস্ট পাথরবাহী একটি লোকোমটিভ (ইঞ্জিন) বগিসহ এই রেলপথের উপর দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চলানো হবে। সেটি চলে যাবে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের সীমান্তের শূন্যরেখায়। এর জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।আখাউড়া গঙ্গাসাগর থেকে ভারতের ত্রিপুরা শিবনগর পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে এই রেলপথ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৪০ কোটি টাকা।

 

spot_img

Related articles

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...

সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা বাড়াতে চালু হচ্ছে জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা! নির্দেশিকা জারি নবান্নের 

সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও তদারকিতে আরও স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। নবান্নের নির্দেশে এবার থেকে রাজ্যের...

মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি! ‘নারীবিদ্বেষী’ শান্তনু ঠাকুরের ইস্তফার দাবি তৃণমূলের

বিজেপি বাংলাকে সম্মান করে না। এই বিজেপি মহিলাদেরও সম্মান করে না, করতে জানেও না। সেটা আরও একবার প্রমাণ...