রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে হুঙ্কার ভারতের (India)। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের উপর লাগাতার নির্যাতনের ভয়াবহ ছবিও এদিন বিশ্বমঞ্চে (UNGA Session) তুলে ধরল ভারত। শুক্রবার ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি পেটাল গেহলট (Petal Gehlot) সাফ জানান, অধিকৃত কাশ্মীরকে অবিলম্বে ছাড়তে হবে পাকিস্তানকে। তিনি আরও জানান, আমরা পরিষ্কার করে দিতে চাই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এটা একেবারেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আর সেখানে যাতে পাকিস্তান কোনওভাবেই নাক না গলায় তা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে এখানেই শেষ নয় শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘে দাঁড়িয়ে সংখ্যালঘুদের উপর অকথ্য নির্যাতনের প্রসঙ্গও তোলেন পেটাল গেহলট। তিনি সাফ জানান, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। সময় যত গড়াচ্ছে ততই জঙ্গি কার্যকলাপ মাথাচাড়া দিচ্ছে প্রতিবেশী দেশে। এরপরই মুম্বই হামলার শিকার ব্যক্তিরা এখনও ন্যায়বিচার কেন পাননি তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। অবিলম্বে পাকিস্তানের কাছে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানায় ভারত।

পাশাপাশি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে গেহলট জানান, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দিকে আঙুল তোলার আগে, আগে নিজেদের মুখ আয়নার সামনে দেখুক পাকিস্তান। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের সবচেয়ে বড় উদাহরণ ২০২৩ সালের আগস্টে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বর্বরতা। ১৯টি গির্জা সহ খ্রিস্টানদের ৮৯টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবারই কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে ভারতকে খোঁচা দেন পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার-উল-হক কাকর। তাঁর কথায়, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হলে তবেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি ফিরবে। এরই পাল্টা দেন ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি পেটাল গেহলট। অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে নয়াদিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করে দেন তিনি।