বাংলার মানুষের পারিশ্রমিক চুরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গরিব মানুষের প্রাপ্য টাকা ফেরাতে রাজ্যপালের সাক্ষাৎ চেয়ে বৃহস্পতিবার থেকে রাজভবনের সামনে অভিষেকের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে ধর্না কর্মসূচি। চলছে আন্দোলন। গতকাল শুরু হয়েছিল ধরনা কর্মসূচি, সেই কর্মসূচি শুক্রবারও চলছে। সেই ধরনা মঞ্চে এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার থেকে রাজ্যপালকে একহাত নিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay) গরিব মানুষের প্রাপ্য টাকা আদায়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যে আন্দোন শুরু করছেন তার পাশে থাকারও এদিন বার্তা দিলেন কুণাল।

রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে এদিন কুণাল বলেন, বিজেপির দালালি করছে রাজ্যপাল। এর ওর কথা শুনে একে ওকে উপাচার্য, অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করছেন। বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে রাজ্যপাল কেবল ছবি তুলছেন। বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় কাজ করছে তৃণমূল সরকার। আর উনি কেবল ছবি তুলতেই ব্যস্ত। উনি তো আবার রাতের বেলায় সানগ্লাস পরেন! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ‘ফেস সেভিং’ করতে বাংলায় ফিরছেন রাজ্যপাল। কোথায়? উত্তরবঙ্গে। এদিন ধরণা মঞ্চ থেকে অভিষেকের সুরেই কুণালের দাবি, সৌজন্যতার খাতিরে রাজ্যপাল সাক্ষাতে দার্জিলিংয়ে ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠাবে তৃণমূল। তবে কলকাতায় এসে রাজ্যপালকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতেই হবে।

পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন এদিন কুণাল। তিনি বলেন, যে জেদ, যে লড়াই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে আমরা দেখেছি সেই লড়াইটা দিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের নেতৃত্বে যে ধরণা চলছে তাতে দিল্লির অলিন্দ অবধি কেঁপে গিয়েছে। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন লড়াই কাকে বলে। বাংলার এনার্জি, নাম তার অভিষেক ব্যানার্জ্জী। আমরা সবাই ওর পাশে আছি। যে আদর্শ নিয়ে নিয়ে গরিব মানুষের লড়াইকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছে সেখানে আমরা সবাই অভিষেকের পাশে থাকব। রাজ্যের গরিব মানুষদের বঞ্চিত করা হচ্ছে কেন তার উত্তর চাইতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সময় চেয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু তৃণমূল প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করলেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, পালিয়ে গেলেন। এরপর কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করতে সময় চাওয়া হলে তিনিও পালিয়ে গেলেন। এরপর বাংলার রাজ্যপালের সময় চাওয়া হল, তিনিও পালিয়ে গেলেন। আমি অভিষেককে বলবো এবার একটু প্রধানমন্ত্রীর সময় চাইতে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, রাজ্যপাল সকলেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শুনলে পালিয়ে যাচ্ছেন, এবার প্রধানমন্ত্রীও পালিয়ে যাবেন? কটাক্ষ করেন কুণাল। সবশেষে বলেন ‘এবি ঝুঁকেগা নেহি’।

আরও পড়ুন- জমিদারি প্রথা অবসানের প্রথম নিদর্শন: সুপ্রিম নির্দেশের পর রাজ্যপালকে তোপ অভিষেকের