রাজ্যের বকেয়ার দাবিতে পঞ্চম দিনে পড়ল তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচি। শেষ পর্যন্ত অভিষেকের দাবি মেনে রাজ্যপাল আজ রাজভবনে অভিষেক সহ তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সোমবার ধর্না মঞ্চে উপস্থিত হন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।তিনি বলেন, ১০০ দিনের ন্যায্য টাকার দাবিতে এই ধর্না। সপ্তাহখানেক ধরে অদ্ভূত জিনিস শুরু হয়েছে। শুধু রেড আর রেড। কখনও সিবিআই আবার কখনও ইডির রেড। সারা বাংলা জুড়ে রেড। আসলে বিজেপি ছটফট করছে। অভিষেকের চাপ থেকে বেরোতে পারছে না।আন্দোলনের চোটে মোদি সরকার কেঁপে গিয়েছে। দিল্লিতে মন্ত্রী দেখা না করে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেল।

রাজ্যপালও দিল্লি চলে গিয়েছিলেন।কিন্তু তিনিও চাপে পড়ে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।দিল্লি থেকে চাপ দিয়েছে, এখানে কেন? বাংলা্য় গিয়ে কথা বলে সামলান।অভিষেকের আন্দোলনে কাঁপছে বিজেপি। ঘন ঘন মিটিং করে, রেড করে নজর ঘোরাতে চেয়েছে বিজেপি।কে অয়ন শীল ? তার সঙ্গে পুর নিয়োগের কী সম্পর্ক? ধরনা মঞ্চ থেকে প্রশ্ন তুললেন ফিরহাদ।

একটা অয়ন শীল বলে লোক, সে কোনও কোম্পানির হয়ে পরীক্ষা নেয়, বামফ্রন্ট সরকারের আমল থেকেই নেয়, ওই পরীক্ষার কিছু ওএমআর শিট পেয়েছে ওর বাড়ি থেকে। আসলে এটা তোমাদের মস্তিস্কপ্রসূত। কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের যে টাকা দিচ্ছে না, সেটাই আসলে দুর্নীতি! দুর্নীতি তো এটা যে খাটিয়ে পয়সা দেয় না।

আমি যে মামলায় আছি সেই একই মামলায় শুভেন্দুও আছে। কিন্তু ওকে ডাকে না। এখনও ফাইনাল চার্জশিট দেয়নি। আর দেবেও না। যে কেসে আমি জেলে গেলাম, আরে আমি তো ক্লাবের জন্য টাকা নিয়েছিলাম। আর শুভেন্দু তো হাত পেতে টাকা নিয়েছে। তাও ওকে কিছু বলছে না, ডাকছে না। কারণ ও বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে ঢুকেছে। আমি ওই ওয়াশিং মেশিনে ঢুকতে পারবো না বলেই আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে।

মানুষকে খাটিয়ে পয়সা দেয়না। এত সহজে এই আন্দোলন থামবে না।অভিষেক ঠিক জায়গায় চাপ দিয়েছে।এক অভিষেককে সামলাতেই হিমশিম অবস্থা। সামলাতে না পেরে অভিষেককে হেনস্থা করছে।এভাবে অভিষেককে আটকানো যাবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তৃণমূলের উত্তরসূরী তৈরি হয়ে গিয়েছে।

ফিরহাদ বলেন, কখনও তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, কখনও দিনভর তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চলছে।ধর্না মঞ্চে ফিরহাদ প্রশ্ন তোলেন, কী অপরাধ করেছি? মানুষের পাশে যে কোনও সময় দাঁড়িয়েছি, সেটাই অপরাধ। বারবার কেন হেনস্থা করা হচ্ছে? আইন অনুযায়ী, পুরমন্ত্রীর পুরনিয়োগের সঙ্গে কী সম্পর্ক আছে? পুরনিয়োগের কোনও ফাইল পুরমন্ত্রীর কাছে আসে? না আইন অনুযায়ী হয়, না প্রসিডিওর অনুযায়ী হয়। কেন এটা করা হচ্ছে?”
