Thursday, August 28, 2025

আজকের দিনে যা যা ঘটেছিল

Date:

Share post:

১৮৭১
অতুলপ্রসাদ সেন
(১৮৭১-১৯৩৪) জন্মদিবস। অক্লান্তকণ্ঠ এক সংগীত-সন্ন্যাসী ছিলেন তিনি। কাগজে বিবেকানন্দের শিকাগো-জয়ের খবরে উচ্ছ্বসিত হয়ে সেলিব্রেট করেছেন, রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী পালনে উঠেপড়ে লেগেছেন, মহাত্মা গান্ধীর ডাকে ছুটে গিয়ে তাঁকে গান শুনিয়েছেন, অওধ বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, আবার প্রবাসী বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের কান্ডারিও। তিনিই আবার লখনউয়ের রাস্তায় যেতে যেতে ঘুমন্ত দরিদ্রের বালিশের তলায় টাকা গুঁজে দিয়ে বেরিয়ে এসেছেন নিঃশব্দে। তাঁর কলম থেকে বেরিয়ে এসেছিল, ‘পরের শিকল ভাঙিস পরে, নিজের নিগড় ভাঙ রে ভাই… সার ত্যজিয়ে খোসার বড়াই! তাই মন্দির মসজিদে লড়াই। / প্রবেশ করে দেখ রে দু’ভাই— অন্দরে যে একজনাই।’ আসলে একুশ শতকের উৎসবসর্বস্বতার ভিড়ে দেশবন্দনার গানগুলি পিছু হটতে হটতে এখন ১৫ অগাস্ট, ২৩ কী ২৬ জানুয়ারির দেওয়ালে এসে ঠেকেছে, তবু ‘জনগণমন অধিনায়ক’ বা ‘আমার সোনার বাংলা’র পরেই এখনও যে গানগুলি শুনলে পরাধীন এক দেশে মানুষের চকচকে চোখ আর দৃঢ়বদ্ধ মুষ্টির কথা মনে পড়ে, তার অনেকগুলিরই রচয়িতার নাম অতুলপ্রসাদ সেন, যেমন : ‘উঠ গো ভারতলক্ষ্মী’, ‘মোদের গরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা’, ‘হও ধরমেতে ধীর, হও করমেতে বীর’, ‘বলো বলো বলো সবে, শত–বীণা-বেণু-রবে’ ইত্যাদি।

 

১৮৫৯
যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি (১৮৫৯-১৯৫৬) এদিন বাঁকুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৮৩-তে একটি মাত্র ছাত্র বটানিতে এমএ পাশ করেছিলেন, তিনি হলেন যোগেশচন্দ্র। একটানা তিরিশ বছর কটকের র‍্যাভেনশ কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। সেসময়ে বাংলা ভাষা, জ্যোতির্বিদ্যা ও দেশীয় কলাচর্চায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। পুরীর পণ্ডিতসভা তাঁকে ‘বিদ্যানিধি’ উপাধি দেয়। পেয়েছেন রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার, রামপ্রাণ গুপ্ত পুরস্কার, জগত্তারিণী স্বর্ণপদক ও সরোজিনী পদক। উৎকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডক্টরেট উপাধি দিয়ে সম্মানিত করে। বাসুলী চণ্ডীদাসের পুঁথিটি তিনিই আবিষ্কার করেছিলেন। চার খণ্ডে ‘বাংলা শব্দকোষ’ সম্পাদনা করেন তিনি।

২০১১ মহম্মদ গদ্দাফি
(১৯৪২-২০১১) এদিন মৃত্যুবরণ করেন। চার দশকের বেশি সময় ধরে লিবিয়ায় সর্বময় ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। বিদ্রোহীদের তাড়ায় সির্তে বিশাল এক পাইপের মধ্যে গদ্দাফি লুকিয়ে ছিলেন বা সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলেন এবং সেই সময়েই হামলা করা হয়৷ এদিন গদ্দাফির মৃতদেহের বেশ কিছু ছবি দেখানো হয় লিবিয়া টেলিভিশনে৷

১৯১৪ ভূপেশ গুপ্ত
(১৯১৪-১৯৮১) এদিন অবিভক্ত ভারতের ইটনায় জন্মগ্রহণ করেন। কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান। রাজনৈতিক জীবনের শুরু বিপ্লবী আন্দোলন দিয়ে। মুক্তি পেয়ে বিলেতে গিয়ে ব্যারিস্টারি পাশ করেন। বিলেতেই তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সারাক্ষণের কর্মী হন। ১৯৫১-তে রাজ্য সভার সদস্য হন।

১৯২০
সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়
(১৯২০-২০১০) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের নাতি, খ্যাতনামা ব্যারিস্টার, পাঞ্জাবের প্রাক্তন রাজ্যপাল ও ভারতের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও সামলেছেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

spot_img

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...