নবপত্রিকা স্নান শেষে বেলুড় মঠে শুরু সপ্তমীর মহাপুজো

সপ্তমীর সকালে বেলুড় মঠে (Belur Math) সম্পন্ন হল নবপত্রিকা স্নান। এবার মহাপুজোয় (Durga Puja) দেবীর চক্ষুদানের পালা। সকাল থেকেই মঠে ভক্তবৃন্দ ও দর্শনার্থীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।

স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) আদর্শ মেনে শাস্ত্রীয় নিয়ম অনুসারে প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরেও সপ্তমীর সকালে বেলুড় মঠে (Belur Math) সম্পন্ন হল নবপত্রিকা স্নান। এবার মহাপুজোয় (Durga Puja) দেবীর চক্ষুদানের পালা। সকাল থেকেই মঠে ভক্তবৃন্দ ও দর্শনার্থীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। গতকাল অর্থাৎ ষষ্ঠীর ( Sasthi ) সন্ধেয় বোধনের পুজোর পর আজ সপ্তমীর সকালে ৯টি গাছ একত্রিত করে তার আনুষ্ঠানিক স্নান করানো হয়। তারপর তা একটি গেরুয়া রঙের কাপড় দিয়ে ঢেকে দুর্গার মূর্তির ডানদিকে একটি কাঠের আসনে রীতি মেনে স্থাপন করা হয়েছে।

দর্পণে মহাস্নান শেষে দেবীমূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, বেলুড়ে (Ramakrishna Math, Belur)। এর পরে ষোড়শোপচারে পুজো। বেলুড় মঠে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মেনে পুজোপাঠ শুরু হয়েছে। আজ সপ্তমী (Saptami )থেকে নবমী পর্যন্ত প্রত্যেক দিনই ভোগ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও হাজার হাজার মানুষের সমাগম হবে পবিত্র রামকৃষ্ণ ভূমিতে, এমনটাই মনে করছে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ। রোদ মাথায় করে আজ সকাল থেকেই ভক্তবৃন্দের দল মঠ প্রাঙ্গণে। সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আঁটোসাঁটো সুরক্ষা বলয় তৈরি করা হয়েছে।

ষষ্ঠীতে দেবীর আমন্ত্রণ -অধিবাস হলেও দুর্গা পুজোর আসল রীতি শুরু হয় সপ্তমী থেকে। নবপত্রিকা শব্দটির আক্ষরিক অর্থ ন’টি গাছের পাতা। তবে নটি গাছের অংশ দিয়েই নবপত্রিকা গঠিত হয়। এগুলি কৃষিপ্রধান বাংলার প্রতীক। কলা, কচু, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, ডালিম, অশোক, মান ও ধান। ডান দিকে গণেশের পাশে এই নবপত্রিকা স্থাপন করে দেবীকে শাকম্ভরী রূপে কল্পনা করা হয়। প্রকৃতি আরাধনার মধ্যে দিয়েই শুরু এবছরের মাতৃ বন্দনা।