পুজোর আগে ১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে আন্দোলন নেমেছিল তৃণমূল। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি বুকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা কলকাতাতেও আছড়ে পড়ে। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের দাবি নিয়ে রাজভবনের নর্থ গেটের অদূরে মঞ্চ বেঁধে ধর্ণা কর্মসূচি নিয়েছিলেন অভিষেক। রাজ্যপাল দেখে করার পর গত ৯ অক্টোবর পাঁচদিনের ধর্না কর্মসূচিতে ইতি টেনেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

তবে সেইদিনই অভিষেক ঘোষণা করেছিলেন, ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে আন্দোলনের এটাই শেষ নয়, ১ নভেম্বর থেকে ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি ওই দিনই দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। হুঁশিয়ারির সুরে অভিষেক জানিয়েছিলেন, “২ মাস পর ৫০ হাজার লোক যাবে দিল্লিতে। পারলে আটকে দেখিও। ট্রেলারটা দেখালাম। পিকচার আভি বাকি হ্যায়!”

অসমর্থিত সূত্রের খবর, পুজো শেষেই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও তীব্র করার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল। লক্ষ্মী পুজোর পর থেকেই অর্থাৎ ১ নভেম্বর থেকে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা এলাকাতেই ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে আন্দোলন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে আরও বেশি মানুষকে সংঘটিত এই উদ্যোগ।

আরও পড়ুন- মানা হয়নি আইন! কোটি কোটি টাকার সিগারেট পো.ড়ানো হবে দিল্লিতে
