বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করে বিজেপি। সোমবার, ভবানীপুরে বিজয়া সম্মিলনী থেকে মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলার বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করে মমতা বলেন, “আমি জীবনে কারও দয়া চাই না।” একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নিজের নামে স্টেডিয়াম বানাই না।“

নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই তোর দেগে তিনি বলেন, “আমি জীবনে কারও দয়া চাই না। তাই নিজের নামে স্টেডিয়াম বানাই না। আমার পাবলিসিটির প্রয়োজন নেই। আমি নিজের নামে ট্রেন লাইনও করি না, প্রয়োজন নেই।” এরপরেই বিরোধীদের নিশানা করে মমতা বলেন, “আমি এক পয়সাও নিই না, তাও আমি চোর?” এর পরেই ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মাসে দেড় লক্ষ টাকা মাইনে পেতে পারি। সব কিছু পেতে পারি। সাত বারের সাংসদ আমি। প্রতি মাসে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে পেনশন পেতে পারি। কিন্তু আমি কোনও পয়সা নিই না। আমার তো এতদিনে ৪০ – ৫০ কোটি টাকা জমানো হয়ে যাওয়ার কথা। নিই না তো এক পয়সাও। একবারও কেউ স্বীকার করেছেন? কই করেননি তো? তবু আমরা চোর?”
যে কোনও কৃতিত্বই নিজের দিকে টানতে চায় কেন্দ্রের মোদি সরকার। এবার সেই বিষয়টিকেও কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি বলেন, ইসরো কিছু করলেও সেই কৃতিত্ব আদায়ের চেষ্টা করে কেন্দ্রই। মমতা বলেন, “আমি চাই না আমার দেশকে নিয়ে অন্য লোক সমালোচনা করুক। আমি আমার জন্মভূমিকে ভালোবাসি। তাই আজও চুপচাপ আছি।”

এদিন ফের বাংলার বকেয়া নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “একশো দিনের কাজে ৭ হাজার কোটি টাকা পায় রাজ্য। কাজ করেও দিনমজুররা অর্থ পাননি। আবাস যোজনার বকেয়া দেয় না কেন্দ্র। উলটে জিএসটির নাম করে সব ট্যাক্স তুলে নিয়ে যায়।“

বাম আমলের ভুয়ো রেশন কার্ড নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “উই আর ফেসিং দ্য লিগাসি। ৩৪ বছর চাষীদের থেকে চাল কেনা হত না। এটা পরিষ্কার করতে গিয়ে আমার ১০ বছর লেগেছে। ১ কোটি রেশন কার্ড আমরা বাদ দিয়েছি। ওই ১ কোটি রেশন কার্ডে বাম জমানায় চাল তোলা হত। ওই রেশন কার্ড ব্যবহার করে ভুয়ো ভোট দেওয়া হত। এই ১ কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড বাদ দিতে আমার ৭–৮ বছর সময় লেগেছে। আমরা রেশন কার্ড সব ডিজিটাইড করে দিয়েছি।”
