প্রায় দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। ঘুঁটি সাজাচ্ছে সব রাজনৈতিক দল। এই পরিস্থিতিতে রাজধানীতে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে নিবীড় জনসংযোগের নির্দেশ দিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার, চাণক্যপুরীর বঙ্গভবনে রাজ্যসভা এবং লোকসভার সাংসদদের সমন্বয় রেখে লড়ার বার্তা দিলেন তিনি। নেত্রীর নির্দেশ, নিজেদের এলাকায় আরও বেশি করে জনসংযোগ বাড়ান সাংসদরা। এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়ান।

একইসঙ্গে ফের লোকসভায় একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার ফর্মুলায় চলতে চান বলে বার্তা দেন মমতা। বিরোধী সাংসদদের বহিষ্কারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, যেভাবে একের পর এক সাংসদকে গণ-সাসপেন্ড করছে কেন্দ্রীয় সরকার তা দেশের পক্ষে বিপজ্জনক। কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ধ্বংস করে দিচ্ছে।

সংসদে হামলা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চাওয়ায় বিরোধী সাংসদদের সাসপেনশন প্রসঙ্গে তৃণমূল সভানেত্রী বলেন, এটাই বিজেপির নীতি। এই ভাবেই ওরা বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়তে হবে।

আরও পড়ুন: জোটের স্পিরিট রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে এগিয়ে চলুক ইন্ডিয়া: কুণাল

কেন্দ্রের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে সরব হয়ে মমতা জানান, ৩ বছর আগে ভার্টিকান সিটিতে যাওয়ার সময় তাঁকে আটক ছিল মোদি সরকার। ওদের সবসময়ই বিভিন্ন এজেন্ডা থাকে। তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, তাঁরা বিভেদের রাজনীতি করেন না। বলেন, “আমি গোবলয় বা হিন্দি বেল্ট বলে বিভাজন করি না। এটা আমার দেশ বলেই আমি মানি।“

মঙ্গলবার, বিরোধী জোটের বৈঠক। তার আগে এদিন দলীয় সাংসদের সঙ্গে বৈঠকে I.N.D.I.A. জোটর নেতৃত্ব প্রসঙ্গে মমতার মত, ভোটের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে হবেন। তৃণমূলের সংসদীয় বৈঠকের পরে এদিন বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মমতার দিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে আসেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিভিন্ন ইস্যুতে দীর্ঘক্ষণ দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মধ্যে কথা হয়।
