Wednesday, November 12, 2025

দশম শ্রেণীতে দেশে ড্রপআউটের হার ২০.৬ শতাংশ, তালিকায় শীর্ষে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর রাজ্য

Date:

Share post:

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে দশম শ্রেণি ড্রপআউটের হার ২০.৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই তালিকায় সবচেয়ে খারাপ হাল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের রাজ্য ওড়িশা। ইতালিকায় দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে দেখা গিয়েছে বিহারের নাম। অন্যদিকে, গত চার বছরে ড্রপ আউটের নিরিখে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।

দেশে দশম শ্রেণীতে স্কুল ছুট পড়ুয়ার হার কত? বিস্তারিত তথ্য চেয়ে সংসদে এ বিষয়ে লিখিত প্রশ্ন করেছিলেন ডিএমকে সাংসদ কালানিধি বীরস্বামী। তার উত্তরে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী জানান, ১,৮৯,৯০,৮০৯ জন ছাত্র ২০২২ সালে দশম শ্রেনীর পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, যার মধ্যে ২৯,৫৬,১৩৮ জন পড়ুয়া অকৃতকার্য হয়। দশম শ্রেণীতে স্কুলছুট পড়ুয়ার হার ওড়িশায় ৪৯.৯ শতাংশ এবং বিহারে ৪২.১ শতাংশ ছিল। এছাড়া, স্কুল ছুটের তালিকায় অন্যান্য রাজ্যগুলি হল মেঘালয় (৩৩.৫ শতাংশ), কর্ণাটক (২৮.৫ শতাংশ), অন্ধ্র প্রদেশ এবং অসম (২৮.৩ শতাংশ), গুজরাট (২৮.২ শতাংশ) এবং তেলেঙ্গানা (২৭.৪শতাংশ)। ১০ শতাংশের কম ড্রপ আউটের হার সহ রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে উত্তর প্রদেশ (৯.২ শতাংশ), ত্রিপুরা (৩.৮ শতাংশ), তামিলনাড়ু (৯ শতাংশ), মণিপুর, মধ্যপ্রদেশ (৯.৮ শতাংশ), হিমাচল প্রদেশ (২.৫ শতাংশ) , হরিয়ানা (৭.৪ শতাংশ) এবং দিল্লি (১.৩ শতাংশ)। অসম গত চার বছরে ৪৪ থেকে ২৮.৩ শতাংশে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখিয়েছে, অন্যদিকে ওডিশা একই সময়ের মধ্যে ১২.৮ থেকে ৪৯.৯ শতাংশে নেতিবাচক প্রবণতা দেখেছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল ছুটের হার কমাতে যথেষ্ট উন্নতি করেছে বলে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রে রিপোর্টে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে দশম শ্রেণীতে ড্রপআউটের হার ছিল ২২ শতাংশ।সেখানে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ড্রপআউট হয়েছে মাত্র ১৪.৯ শতাংশ।

পাশাপাশি ডিএমকে সাংসদ জানতে চেয়েছিলেন, শিক্ষা মন্ত্রকের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৩৫ লক্ষ শিক্ষার্থী দশম শ্রেণীতে তাদের পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে, এই তথ্য সম্পর্কে সরকার সচেতন কিনা। ধর্মেন্দ্র প্রধান জবাবে বলেন, “পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ব্যর্থতার কারণগুলি বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে যেমন, বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়া, বিদ্যালয়ে নির্দেশনা অনুসরণে অসুবিধা, পড়াশোনায় আগ্রহের অভাব, প্রশ্নপত্রের অসুবিধার মাত্রা, মানসম্পন্ন শিক্ষকের অভাব, অভিভাবক, শিক্ষক এবং স্কুলের কাছ থেকে সহায়তার অভাব। উপরন্তু, শিক্ষা সংবিধানের যৌথ (কেন্দ্র ও রাজ্য) তালিকায় রয়েছে এবং বেশিরভাগ স্কুল নিজ নিজ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকারের অধীনে রয়েছে।”

spot_img

Related articles

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...

সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা বাড়াতে চালু হচ্ছে জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা! নির্দেশিকা জারি নবান্নের 

সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও তদারকিতে আরও স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। নবান্নের নির্দেশে এবার থেকে রাজ্যের...

মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি! ‘নারীবিদ্বেষী’ শান্তনু ঠাকুরের ইস্তফার দাবি তৃণমূলের

বিজেপি বাংলাকে সম্মান করে না। এই বিজেপি মহিলাদেরও সম্মান করে না, করতে জানেও না। সেটা আরও একবার প্রমাণ...