এবার গুজরাট উপকূলের কাছে আরব মহাসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা। উপকূলরক্ষী সংস্থাকে উদ্ধৃত করে দাবি ড্রোন হামলার বিষয়টি সামনে এনেছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। হামলায় জাহাজের ক্ষতি হলেও কেউ হতাহত হয়নি, ২০ জন ভারতীয় ক্রু সহ অন্যান্যরা সুস্থ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আক্রান্ত জাহাজটির সঙ্গে ইজরায়েল যোগ রয়েছে তার ফলেই এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে এই হামলার পিছনে ইরানের হাত রয়েছে।

ব্রিটিশ সেনার ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন জানিয়েছে, গুজরাট উপকূল থেকে ২১৭ নটিক্যাল মাইল দূরে বাণিজ্যিক জাহাজ ‘MV Chem Pluto’ লক্ষ্য করে যন্ত্রচালিত কোনও আকাশ যান থেকে হামলা করা হয়েছে। ওই সংস্থার আরও জানিয়েছে, জাহাজটিতে ছিল রাসায়নিক ট্যাঙ্কার। পরিকাঠামোগত কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জল উঠে এসেছে জাহাজে। জানা গিয়েছে সৌদি আরব থেকে রওনা হয়ে ভারতের উদ্দেশে আসছিল ইজরায়েলের এই জাহাজ। উল্লেখ্য, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকেই লোহিত সাগরে জাহাজের উপর ব্যপকভাবে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে ইরান সমর্থিত হুথি-গোষ্ঠী। প্যালেস্টাইনের সমর্থক এই গোষ্ঠীর তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গাজায় ইজরায়েলের হামলা বন্ধ না হলে ইজরায়েলের সঙ্গে যুক্ত সব বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাবে তারা। এদিকে এই হামলা পর ভারত মহাসাগর ও আরব সাগরে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

রয়টার্সের তরফে জানানো হয়েছে, হুথির এই হুঁশিয়ারির কারণে ঘুরপথে আফ্রিকার দক্ষিণ দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে ইজরায়েলের বাণিজ্যিক জাহাজ। হোয়াইট হাউস স্পষ্টই এর নেপথ্যে ইরানের ‘যোগ’ দেখেছে। ইরানের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ রেযা নাকদি পাল্টা হুমকি দিয়ে জানিয়েছেন, গাজায় আমেরিকা এবং তার জোটসঙ্গীরা ‘অপরাধ’ বন্ধ না করলে ভূমধ্যসাগর, জিব্রাল্টার প্রণালী দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হবে। এদিকে হুথি গোষ্ঠীকে আটকাতে ১০ দেশের সম্মিলিত বাহিনী তৈরি করেছে আমেরিকা। যদিও তাতেও আটকানো যাচ্ছে না এই হামলা।
