Sunday, August 24, 2025

ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়দের সেবা করাই শূদ্রদের কাজ: বিতর্ক বাড়িয়ে টুইট মুছলেন হিমন্ত

Date:

Share post:

ইন্ডিয়া বনাম এনডিএ, এই লড়াইটা মতাদর্শের। বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। আর সেই মতাদর্শগত পার্থক্যটা স্পষ্ট হয়ে উঠল শুক্রবার। নিজেদের ‘মতাদর্শ’ তুলে ধরে এদিন বিজেপি নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেন, ‘শূদ্র জাতির কাজই হল ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্যদের সেবা করা।’ স্বাভাবিকভাবেই হিমন্তের মন্তব্যে বিতর্ক চরম আকার ধারন করে। চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে সেই টুইট মুছে ফেললেন ‘হিন্দুত্বের পোস্টার বয়’। তবে টুইট মুছলেও বিজেপি নেতাদের মানসিকতা স্পষ্ট হয়ে উঠল আরও একবার।

আসলে রোজ নিয়ম করে সোশাল মিডিয়ায় ভগবত গীতা থেকে একটি করে শ্লোক সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেই সঙ্গে পোস্ট করেন সেই শ্লোকের অসমীয়া তর্জমাও। সম্প্রতি গীতার ১৮তম অধ্যায় থেকে ৪৪ নম্বর শ্লোকটি পোস্ট করেছিলেন হিমন্ত। তবে গীতার সেই শ্লোকের অর্থ রীতিমতো বিকৃত করেন হিমন্ত। ওই শ্লোকের মানে হিসাবে অসমের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “বৈশ্যদের কাজ চাষবাস করা, গোসেবা করা এবং ব্যবসা করা। আর ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্যদের সেবা করায় শূদ্রদের পবিত্র কর্তব্য।” এরপরই বিষয়টি নিয়ে সরব হয় বিরোধী শিবির। বিজেপির মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস।

প্রবল চাপের মুখে পড়ে পোস্ট ডিলিট করেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর দাবি, ওই পোস্টটি তিনি নিজে করেননি। করেছেন তাঁর সোশাল মিডিয়া টিমের একজন। ভুল বুঝতে পারা মাত্রই পোস্টটি ডিলিট করা হয়েছে। হিমন্ত বলেন, “আমি এ পর্যন্ত ৬৬৮টি শ্লোক পোস্ট করেছি। এই ধরনের ভুল প্রথম। দেখা মাত্রই সেটা সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।” তবে টুইট মুছলেও বিতর্ক মিটছে না কিছুতেই। হিমন্তের এহেন পোস্ট প্রসঙ্গে মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বলেন, “সাংবিধানিক পদে থেকেও এই ধরনের পোস্ট। এতে বোঝা যায়, এদের মানসিকতা কী ধরনের।”

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...