শুরু ২০২৪। আর নতুন বছরে পা রাখতে না রাখতেই কৃষ্ণগহ্বর খুঁজতে মহাকাশে পাড়ি দিল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর (ISRO) স্যাটেলাইট এক্সপোস্যাট (Satellite Exposat)। এটি ভারতের প্রথম এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট, যা বিশ্বে দ্বিতীয়। এই ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ এর আগে মহাকাশে পাঠিয়েছে কেবল নাসা। আমেরিকার পর ভারতই প্রথম কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার জন্য মহাকাশে রকেট পাঠাচ্ছে।

ইসরো সূত্রে খবর, মহাকাশে কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান এবং পর্যবেক্ষণ করবে এই স্যাটেলাইট। এছাড়াও উজ্জ্বলতম ৫০টি শক্তির উৎস পর্যবেক্ষণ করবে এক্সপোস্যাট। মহাকাশের নিউট্রন স্টারগুলিকেও এই কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে অধ্যয়ন করবেন বিজ্ঞানীরা। উল্লেখ্য, বছরের প্রথম দিনটিকেই এই কাজের জন্য বেছে নেয় ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। সোমবার ঠিক সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্ল বা পিএসএলভি-র পিঠে চেপে যাত্রা শুরু করল এক্সপোস্যাট। পিএসএলভি-র এটি ৬০তম মহাকাশ যাত্রা।
এদিন ইসরোর তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সাফল্যের কথা জানানো হয়েছে। আপাতত এক্সপোস্যাটকে রাখা হয়েছে পৃথিবী থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরের কক্ষপথে। মহাকাশে এই কৃত্রিম উপগ্রহটির আয়ু পাঁচ বছর। পৃথিবীর উপরে নিচু কক্ষপথেই প্রদক্ষিণ করবে এক্সপোস্যাট। ভূমি থেকে তার সর্বোচ্চ উচ্চতা হবে ৫০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার। এক্সপোস্যাটে রয়েছে দু’টি পেলোড— পোলিক্স (পোলারিমিটার ইনস্ট্রুমেন্ট ইন এক্স-রে) এবং এক্সস্পেক্ট (এক্স-রে স্পেকট্রোস্কোপি অ্যান্ড টাইমিং)। রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার যৌথ ভাবে এই পেলোড তৈরি করেছে।

মহাকাশে যখন কোনও নক্ষত্র ধ্বংস হয়, তখন সৃষ্টি হয় কৃষ্ণগহ্বর এবং নিউট্রন স্টার। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সর্বোচ্চ মহাকর্ষজ বলের অধিকারি ব্ল্যাক হোল। এ ছাড়া, অনেকগুলি নিউট্রন কণা গাঢ় ঘনত্বে একত্রিত হয়ে তৈরি তারার নাম নিউট্রন স্টার। জানা গিয়েছে, এই স্যাটেলাইটের দাম ২৫০ কোটি টাকা। স্যাটেলাইট মহাশূন্যে ৫ বছর থাকতে পারবে বলেই অনুমান।
