Thursday, May 15, 2025

এক জাতি এক ভোট: বিরোধিতার কারণ জানিয়ে কমিটির সচিবকে কড়া চিঠি মমতার

Date:

Share post:

এক জাতি এক ভোট: বিরোধিতার কারণ জানিয়ে কেন্দ্রকে করা চিঠি মমতারএক জাতি এক দল- এই এজেন্ডা সামনে রেখে বিরোধীদের মুখ বন্ধের চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই করছে বিজেপি। এবার তারা ‘এক জাতি এক ভোট’-র ধুঁয়ো তুলেছে। এ বিষয়ে মতামত জানতে চিঠিও দিয়েছিল বিরোধী দলগুলিকে। তারই বিরোধিতা করে কড়া চিঠি লিখলেন তৃণমূল (TMC) সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। স্পষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। প্রথমেই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এক জাতি’ বলতে কী বুঝিয়েছে কেন্দ্র! দেশের বহুত্ববাদের উপর বিজেপি আক্রমণ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল।

চিঠিতে তৃণমূল নেত্রী লিখেছেন, ১৯৫০ সালে থেকে কয়েকবার লোকসভা এবং বিধানসভার ভোট একসঙ্গে করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে পরে সেই ক্রম ভেঙে যায়। ‘এক ভোট’ বলতে কি দুটো ভোট এক সঙ্গে করার প্রস্তাব দিচ্ছে কেন্দ্র? চিঠি দিতে স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন মমতা (Mamata Bandopadhyay)। লোকসভা ভোটের সঙ্গে দেশজুড়ে বিধানসভা ভোট-সহ অন্যান্য স্থানীয় ভোট করার সমস্যার কথাও চিঠিতে তুলে ধরেন মমতা। এক জাতি এক ভোটরূপায়ণ করতে কেন পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত বিধানসভাকে আগে ভেঙে দেওয়া হবে? কোনও বিধানসভার মেয়াদ নির্ধারিত সময়ের পরেও বৃদ্ধি করা হবে? প্রশ্ন তোলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে গণতান্ত্রের উপর মানুষ আস্থা হারাবেন বলে মনে করছেন তিনি।

চিঠির তাঁর আপত্তির ৬টি কারণ জানান তৃণমূল সভানেত্রী। লেখেন, “আমি দুঃখিত যে এক জাতি এক ভোট ধারণার সঙ্গে একমত হতে পারছি না। আমরা এই প্রস্তাবকে সমর্থন করছি না।প্রথমেই এক জাতিধারণাটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। তাঁর কথায় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এদেশে কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়াও একাধিক প্রাদেশিক অর্থাৎ রাজ্য সরকার রয়েছে। সেক্ষেত্রে এক দেশবা এক জাতি এই ধারণার অর্থ কী? তৃণমূল সুপ্রিমো লেখেন, “আমি স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে। তাই আমি আপনাদের এই পরিকল্পনারও বিরুদ্ধে।

 

একই সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই লোকসভা ভেঙে দেওয়া হলে এবং নতুন করে সাধারণ নির্বাচন হলে, বিধানসভার ক্ষেত্রে কী হবে- সেগুলিও কি ভেঙে দেওয়া? প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের সভানেত্রী।

 

মমতা অভিযোগ করেন, ‘এক জাতি এক ভোটে’র আলোচনায় গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটিতে রাজ্য সরকারগুলির মতামত না নিয়েই কেন্দ্র একতরফা সিদ্ধান্ত বাকিদের জানাচ্ছে বলেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, বাস্তব পরিস্থিতি প্রকাশ হয়ে যাবে বলেই, কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে উচ্চপর্যায়ের কমিটিতে রাখা হয়নি। নতুন ব্যবস্থা চালু করতে হলে সংবিধান বদলও প্রয়োজন বলে মত মমতার।

spot_img

Related articles

৬৭২ বাতিতে সেজে উঠবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির, কাজ শুরু করল হিডকো

উদ্বোধনের মুহূর্ত থেকেই মন্দিরে পুণ্যার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। প্রতিনিয়ত সেজে উঠছে মুখ্যমন্ত্রীর(Chief Minister) নেতৃত্বে তৈরী দিঘার জগন্নাথ মন্দির(Digha...

কলকাতায় লুকিয়ে থাকলেও প্রতারণার অভিযোগে বেঙ্গালুরু পুলিশের হাতে ধৃত ৪

ডিজিটাল গ্রেফতারির(Digital Arrest) ভয় দেখিয়ে বা ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত জালিয়াতি ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের সাইবার প্রতারণা করে বহু মানুষের...

দিল্লির কলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

দিল্লির শ্রী গুরু গোবিন্দ সিং কলেজ অফ কমার্সে(Sri Guru Govind Singh Collage of commerce) বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড(Dire Incident)। বৃহস্পতিবার...

মঙ্গলে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম শুনানি

ওয়াকফ সংশোধনী আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে কি,সুপ্রিম সিদ্ধান্ত আগামী মঙ্গলবার (২০মে)। কেন্দ্রীয় সরকার সংসদের দুই কক্ষে WAQF সংশোধনী...