মাঠের মধ্যে একটি গাছে বাবার ঝুলন্ত দেহ। ঠিক তার নিচেই মৃত নাবালক ছেলে ও মেয়ের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। মঙ্গলবার এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগণার নৈহাটির শিবদাসপুর থানার এলাকার রামচন্দ্রপুর গ্রামে।

জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম জ্যোতিপ্রকাশ মণ্ডল। তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। মেয়ে লাজবন্তীর বয়স ৯, ছেলে জয়মাল্যের বয়স ১৩। পরিবারের সদস্যদের অনুমান ছেলে মেয়েকে খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন জ্যোতিপ্রকাশ।
পরিবারের বক্তব্য, সোমবার বিকেলে জ্যোতিপ্রকাশ ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাইরে বেরিয়েছিলেন। বাড়িতে বলেছিলেন, ঘুরতে যাচ্ছে। জ্যোতিপ্রকাশের স্ত্রী লাবণী সে সময় বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর ঠাকুমা মারা যাওয়ায় স্বামীর কাছে ছেলে-মেয়েদের রেখে সেখানে গিয়েছিলেন। রাত পর্যন্ত সন্তানদের নিয়ে জ্যোতিপ্রকাশ বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এলাকায় খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু তিনজনেরই সন্ধান মেলেনি। তাই সকাল হওয়ার অপেক্ষা করতে থাকেন। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির লোকেরা তিনজনের মৃত্যু সংবাদ পান। পাশের বুদুরিয়া গ্রামে রামচন্দ্রপুর হাজরাতলা এলাকায় জ্যোতিপ্রকাশবাবু একটি জমি কিনেছিলেন। সেখানেই ছেলে মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সাত সকালে ওই জমি থেকে বাবা, ছেলে, মেয়ের দেহ দেখেন স্থানীয়রা।

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিবদাসপুর থানার পুলিশ। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। স্থানীয় ও পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পারিবারিক অশান্তির জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
