সন্দেশখালি মামলায় বুধবার নির্দেশ শোনাবে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় ঘটনাস্থলে দ্রুত সিসিটিভি (CCTV) বসানোর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এদিন শুনানি চলাকালীন তদন্তে ইডি-কে যে কোনও ধরনের সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয় রাজ্যের তরফে।

ঘটনার রাতে পুলিশ অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তদন্তের জন্য যায় বলে মঙ্গলবার আদালতকে জানায় রাজ্য পুলিশ। সেই সময় সেখানে গিয়ে কী কী পদক্ষেপ নেয় পুলিশ, প্রশ্ন তোলে। তালা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা, প্রতিবেশীদের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ বা বাড়ি সিল করার মতো পদক্ষেপ কেন নেওয়া হয়নি বলে প্রশ্ন তোলে আদালত। উত্তরে পুলিশ জানায় বাড়ি সিল করা না হলেও বাড়ির বাইরে পরদিন থেকেই পুলিশ পিকেট (police picket) বসানো হয় পুলিশের তরফে। রাজ্য পুলিশের জবাব শুনে ঘটনাস্থলে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

সন্দেশখালির ঘটনায় ৭ জন গ্রেফতার হলেও মূল অভিযুক্ত শাহজাহান শেখ গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। জানতে চাওয়া হয় এই তদন্তে পুলিশের অবস্থান কী, তাদের সদিচ্ছা (positive way) কতটা রয়েছে। রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল (AG) কিশোর দত্ত বারবার তদন্তে ইডি-কে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সেখানেই আদালত প্রশ্ন তোলে ইডি আধিকারিকরা আবার ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ সাহায্য করবে কী না। রাজ্যের তরফ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার কথা জানানো হয়।

যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র পক্ষ থেকে দ্বিতীয়বার ঘটনাস্থলে যাওয়ার কোনওরকম সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়। ইডি আধিকারিকদের দাবি ঘটনাস্থলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এমনকি শেখ শাহজাহানকে খোঁজার বিষয়ে রাজ্যের অসহযোগিতার প্রসঙ্গ তুলে ফের তাঁদের তরফে সিবিআই তদন্তের আবেদনে জোর দেওয়া হয়। আদালত এই মামলায় দায়ের হওয়া দ্বিতীয় অভিযোগ, যা পরের দিন দুপুরে দায়ের হয়েছিল, তার কেস ডায়েরি (Case Diary) তলব করা হয়।