Sunday, August 24, 2025

রেশন বন্টন মামলায় চা.ঞ্চল্যকর অভিযোগ! ইডির স্ক্যানারে শংকরের আত্মীয়

Date:

Share post:

ইডির (Enforcement Directorate) নজরে এবার বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম‌্যান শংকর আঢ‌্যের (Shankar Adhya) এক আত্মীয় (Relative)। রেশন বন্টনের টাকা নাকি পৌঁছে যেত সোনা পাচারকারীদের (Gold Smuggler) কাছে। সোনা পাচারের মাধ‌্যমে রেশন বন্টন মামলায় বিপুল টাকা বৈদেশিক মুদ্রায় (Foreign Currency) লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। ইডির গোয়েন্দাদের অভিযোগ, সোনা পাচারকারীদের হাতে দুর্নীতির টাকা দেওয়ার পিছনে রয়েছেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম‌্যান শংকর আঢ‌্য। ইতিমধ্যে তাঁকে গ্রেফতারও করেছে ইডি। এবার ইডির স্ক্যানারে শংকরের এক আত্মীয়ের ভূমিকাও।

সোমবারই মধ‌্য কলকাতার কলিন্স স্ট্রিট ও মার্কুইস স্ট্রিটে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু তথ‌্য হাতে এসেছে ইডি আধিকারিকদের। এদিকে, মঙ্গলবারই শংকর আঢ‌্যর মেয়ে ঋতুপর্ণা আঢ‌্যকে তলব করে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, নিউ মার্কেট এলাকার মার্কুইস স্ট্রিটে শংকর আঢ‌্যর নিজস্ব অফিসের পাশাপাশি কলিন্স স্ট্রিটে আরও একটি বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের অফিসে ইডি তল্লাশি চালায়। ওই অফিসটির মালিক শংকর আঢ‌্যরই এক আত্মীয়। যদিও ইডি সূত্রে খবর, সংস্থাটির নিয়ন্ত্রণ ছিল শংকরের হাতেই। যদিও কলিন্স স্ট্রিটের ওই অফিসটি শংকর আঢ‌্য গ্রেফতার হওয়ার পরই তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও ইডির অভিযোগ, সিল করে দেওয়া এই অফিসটির সঙ্গে কয়েকজন সোনা পাচারকারীর যোগ ছিল। সেই সূত্র ধরে ইডির গোয়েন্দারা জেনেছেন যে, মধ‌্য প্রাচ‌্য থেকে মূলত বাংলাদেশ হয়ে পাচার হওয়া সোনার বিস্কুট বা সোনার বাটের একটি বড় অংশ এসে পৌঁছয় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ও তার আশপাশের অঞ্চলে। ওই সোনা পাচারের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ ছিল শংকর আঢ‌্যর হাতে। অভিযোগ, সোনা পাচারকারীদের মাধ‌্যমে শংকরই বনগাঁ থেকে ওই সোনা কখনও ট্রেন, আবার কখনও বা সড়কপথে পাচার করতেন কলকাতায়। সেই সোনা তাঁরই এক আত্মীয়ের লোকজন কলকাতায় বসে সংগ্রহ করতেন। পোস্তার সোনাপট্টিতে সেই সোনা পাচার হত বলে অভিযোগ।

এছাড়া শংকর আঢ‌্য ও তাঁর আত্মীয়দের ফোরেক্স সংস্থার মাধ‌্যমেই রেশন বন্টনের টাকা ডলারে পরিণত করা হত। সোনা পাচারের সেই টাকা ডলারে পাঠানো হত বিদেশে। বাংলাদেশ হয়ে সেই ডলার পৌঁছে যেত। মার্কুইস স্ট্রিট বা কলিন্স লেনের পরিবহন সংস্থার কাছ থেকে বিদেশে যাত্রীদের পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্রের নথি নিয়ে সহজে পাল্টানো হত ডলার। তবে শংকরকে গ্রেফতার ও তাঁর এবং আত্মীয়ের অফিস সিল করার পর বাংলাদেশ থেকে সোনা পাচারও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে জানিয়েছে ইডি।

 

 

 

spot_img

Related articles

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...

ফলতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইলিশ উৎসব, পড়ুয়াদের জন্য পাতে ভাপা–ভাজা ইলিশ

বাজারে ইলিশের যা আগুন ছোঁয়া দাম তাতে উচ্চবিত্তদেরই পাতে ইলিশ জোটাতে হিমশিম খাওয়ার জোগাড়। কিন্তু সেই  দুর্মূল্যের বাজারেই...

আমেরিকায় চিঠি–পার্সেল পাঠানোয় বিধিনিষেধ, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগের 

ভারত–মার্কিন শুল্কযুদ্ধের জেরে এবার বড়সড় প্রভাব পড়ল ডাক পরিষেবায়। আমেরিকায় চিঠি ও পার্সেল পাঠানোর প্রক্রিয়ায় বিধিনিষেধ জারি করল...