৭৫তম সাধারণতন্ত্র দিবসে কলকাতার রেড রোডে বাংলার বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ভাবনাকে তুলে ধরতে প্রস্তত রাজ্য সরকার। শুক্রবার রেড রোডে বর্ণময় কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করবেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের সাম্প্রদায়িক বিভেদের ভাবনার বিরুদ্ধে বার্তা দিতেই ধর্মীয়, জাতিগত সম্প্রীতির বার্তা রাজ্যের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হবে সাধারণতন্ত্র দিবসে।

২৬ জানুয়ারি সকালে রেড রোডে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপর আয়োজন করা হবে কুচকাওয়াজের। এ বছর ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ শীর্ষক একটি ট্যাবলো থাকছে কুচকাওয়াজে। রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের ওই ট্যাবলোতে মন্দির মসজিদ এবং গির্জার প্রতিকৃতি রাখা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পের আওতায় ২২ জেলায় ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন বিভাগের ট্যাবলোতে এই সাফল্যকে তুলে ধরা হবে। কলকাতা পুলিশের ট্যাবলুর বিষয়বস্তু ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ।’ এছাড়া এপর্যন্ত রাজ্যের জিআই তকমা পাওয়া ২৭টি পণ্যকে এবছর রেড রোডের কুচকাওয়াজে তুলে ধরা হবে।

পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে কুচকাওয়াজে। প্রতিবছরই ২৬ শে জানুয়ারি রেড রোডে কুচকাওয়াজের পর নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। লক্ষীর ভান্ডার, জয় জোহার, তফশিলি বন্ধু, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্পের সুবিধা ভোগীরা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্ল্যাকার্ড সহ শোভাযাত্রায় সামিল হবেন।

অন্যদিকে সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে রেড রোড সহ গোটা শহরেই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। রেড রোডে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ২৫০০ পুলিশ কর্মী। ২২ জন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে। তাদের সঙ্গে থাকছেন ৪২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদা অফিসার। এছাড়া বহু মানুষ এদিন কলকাতায় বেড়াতে আসেন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেমন ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানা, জাদুঘর-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেসব জায়গায় নজরদারির জন্য ১৭টি জ়োন ভাগ করা হয়েছে, যার দায়িত্ব থাকছেন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদা অফিসাররা। সঙ্গে সাহায্য করবেন ১২৫ জন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদা অফিসার। দায়িত্বে থাকছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার-২ শুভঙ্কর সিনহা সরকার।
