Sunday, August 24, 2025

“আমি একজন হেরো”, বাবা-মাকে চিঠি লিখে কোটায় ফের আত্মহত্যা ছাত্রীর

Date:

Share post:

কোটায় ফের আত্মহত্যা! পরীক্ষার ২ দিন বাকি থাকতেই আত্মহত্যা করল এক ছাত্রী। মৃত্যুর আগে বাবা-মার উদ্দেশ্যে এক চিঠি লিখে রেখে গেছেন ১৮ বছর বয়সী ওই ছাত্রী। যাতে লেখা, “মা-বাবা, আমি জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিতে পারলাম না। আমি একজন হেরো। আমি সবচেয়ে খারাপ কন্যা। দুঃখিত মা-বাবা। এটাই শেষ রাস্তা ছিল।”

জানা গিয়েছে, নীহারিকা নামে ওই পড়ুয়া জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেনসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কোটা শিক্ষানগরী এলাকায় ঘরভাড়া নিয়ে ছিলেন তিনি। সেই ঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই তরুণী। ৩১ জানুয়ারি পরীক্ষা ছিল তাঁর। তবে সেই পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করেনি সে। তার আগেই নিল চরম পদক্ষেপ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পড়াশোনার চাপের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীহারিকা। ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁর সহপাঠীদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা। চলতি মাসে এই নিয়ে কোটায় আত্মহত্যা করলেন ২ পড়ুয়া। গত ২৩ জানুয়ারি কোটায় আত্মহত্যা করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের এক ছাত্র।

উল্লেখ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য রাজস্থানের কোটায় কোচিং নেন হাজার হাজার ছাত্র- ছাত্রী। কিন্তু প্রতি বছরেই একাধিক পড়ুয়া আত্মহত্যা করেন সেখানে, যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। ২০২৩ সালে কোটায় ২৯ জন ছাত্র- ছাত্রী আত্মহত্যা করেছিলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের তরফে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে উল্লেখযোগ্য ছিল ১৮ বছরের নীচে কাউকে কোচিংয়ে ভর্তি করা যাবে না। রাজস্থান সরকারের তরফে পড়ুয়াদের উপর মানসিক চাপ কমানোর জন্য কোচিং সেন্টারগুলিকে বিভিন্ন পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়। যদিও তাতে লাভ বিশেষ কিছু হয়নি।

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...