বড় কোনও ঘোষণার প্রত্যাশা আগে থেকেই ছিল না। আর বৃহস্পতিবার বাজেটে যেন সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। ২০২৪-এর অন্তর্বর্তী বাজেট (Union Budget 2024) লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election) বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। আর এদিন অর্থমন্ত্রী বাজেটে নতুন কিছু চমক না দিলেও তা সার্বিকভাবে মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে বলে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে বাধ্য হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার পর নির্মলা সীতারমণের (Nirmala Sitaraman) প্রশংসা করে মোদি এই বাজেটকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই বাজেটের ফলে কৃষকদের আয় ও কর্মসংস্থান বাড়বে।

এদিন নির্মলার বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, এই বাজেট বিকশিত ভারতের রোডম্যাপ। পাশাপাশি এদিন বাজেট পরবর্তী ভাষণে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের প্রশংসা করে সৌরবিদ্যুৎ থেকে লাখপতি দিদি এবং আয়ুষ্মান ভারত-সহ একাধিক প্রকল্পের তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি এদিন মনে করিয়ে দেন এবারের বাজেটের মূল মন্ত্র ছিল সর্বস্তরে বিকাশ ও সামাজিক ন্যায়। সমাজের সর্বস্তরের সকলের বিকাশে জোর দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, এই বাজেট গরিব ও মধ্যবিত্তদের ক্ষমতায়নের বাজেট। যার ফলে আগামীদিনে দেশে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

প্রধানমন্ত্রী এদিন উল্লেখ করেন, যুব সম্প্রদায়ের জন্য দুটি বড় ঘোষণা হয়েছে। গবেষণার জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, স্টার্ট আপ সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে কর ছাড় দেওয়ার কথাও ঘোষণা হয়েছে। তবে মুখে যতই বলুন না কেন, এদিনের বাজেটে আখেরে যে কিছুই ছিল না তা নির্মলার ভাষণের সময়সীমা দেখেই বোঝা যায়। তবে এদিনের বাজেটকে একেবারেই সুপরিকল্পিত এবং নরেন্দ্র মোদি সরকারের বড় মাপের ভাঁওতা তা স্পষ্ট জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাজেটের তীব্র সমালোচনা করে মন্তব্য করেছেন, সম্পূর্ণ অন্তঃসারশূন্য একটি বাজেট। সমস্ত দিক দিয়ে নিজেদের অক্ষমতাই স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র। দেশের সাধারণ মানুষের, দরিদ্র জনসাধারণের কোনও উপকার হবে না এই বাজেটে। ছাত্র-যুব-মহিলা-শ্রমিক-কৃষক সমাজকে কোনও দিশা দেখাতে পারেনি কেন্দ্র।
