Thursday, August 28, 2025

জমিদারি হটাও, বাংলা বাঁচাও: স্লোগান বেঁধে এখনই পথে নেমে লড়াইয়ের নির্দেশ অভিষেকের

Date:

Share post:

লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে লড়াইয়ের সুর বেঁধে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার, তিনি নির্দেশ দেন, “অপেক্ষা করার সময় নেই, এখনই বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে রাস্তায় নামুন”। এর জন্য কর্মসূচি ঘোষণা করেন অভিষেক। জানান, ১৮ থেকে ২৫ মার্চ রাজ্যজুড়ে অঞ্চল ভিত্তিক ৩৩০০ শিবির করবে তৃণমূল। জমিদারি হটাও, বাংলা বাঁচাও- লোকসভা নির্বাচনের আগে স্লোগান দিয়ে লড়াইয়ের সুর বেঁধে দিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুকে হাতিয়ার করেছে বিরোধী রাম-বাম-কংগ্রেস। সন্দেশখালি নিয়ে চলছে বিরোধীদের রাজনৈতিক উস্কানি। এর বিরোধিতায় এদিনের বৈঠকে এই সব নিয়েই আন্দোলনের রূপরেখা জানিয়েছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)।

সন্দেশখালি নিয়ে যখন রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণের চেষ্টা করছে বিরোধীরা, তখন দিল্লিতে তৃণমূলের মহিলা সাংসদদের হেনস্থার ঘটনাকে তুলে ধরে রাস্তায় নামার নির্দেশ দেন অভিষেক। গত ৩ অক্টোবর ১০০ দিনের শ্রমিকদের বকেয়া টাকার দাবিতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দিল্লি পুলিশের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার প্রতিবাদে এবার রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবে তৃণমূল। ভার্চুয়াল সভা থেকে অভিষেক নির্দেশ দেন, আর অপেক্ষা নয়, এখনই বিজেপির বিরুদ্ধে রাস্তায় নামুন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ঘটনায় সংসদীয় কমিটি সমন তলব করেছে। অভিষেক বলেন, বিজেপি সাংসদ গাড়ি থেকে পিছলে পড়ে যাওয়া নিয়ে সমন পাঠানো হয়েছে! যখন দিল্লিতে আমাদের সাংসদদের নির্মমভাবে লাঞ্ছনা করা হয়েছিল, মহিলা সাংসদদের চুল ধরে টেনে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ- তখন কোথায় ছিল এই সংসদীয় কমিটি! এই প্রশ্ন তোলার নির্দেশ দেন  তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সন্দেশখালি ইস্যুতে বিজেপি, সিপিআই এবং বিজেপিকে একযোগে নিশানা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই প্রসঙ্গে চোপড়া নিয়েও সরব হন অভিষেক। বিএসএফের গাফিলতির কারণে ৪টি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। তা নিয়ে কেন বিরোধীরা চুপ। এই শিশুদের প্রাণের কোনও মূল্য নেই? প্রশ্ন তুলে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর নির্দেশ দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এই বিষয়ে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও কটাক্ষ করেন অভিষেক। তিনি জানান, আমাদের প্রতিনিধিদল গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে এবং তাঁকে চোপড়ার যাওয়ার কথা বলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। কিন্তু এখনও সেখানে যাননি সিভি আনন্দ বোস। অথচ বিজেপির প্রতিনিধি দল যখন  তাঁকে সন্দেশখালি যেতে বলল, তখন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি সেখানে চলে গেলেন। এটাতেই বোঝা যায়, তাঁর কাছে কাদের গুরুত্ব বেশি। এই সব বিষয় নিয়েই দ্রুত রাস্তায় নেমে দলীয় কর্মীদের প্রতিবাদের নির্দেশ দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

spot_img

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...