২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বর্তমানে তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর শুভেন্দু যোগদানের পর থেকেই তাঁর বাবা শিশির অধিকারী ও ভাই দিব্যেন্দুকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বার বার প্রশ্ন তুলেছে। তৃণমূলের টিকিটে জিতে সাংসদ হলেও শিশির বা দিব্যেন্দু যে বিজেপির সঙ্গে সখ্যতা রেখে চলছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুভেন্দু ছোট ভাই সৌমেন্দূ অনেক আগেই দাদার হাত ধরে বিজেপির সঙ্গে সংসার করছিলেন। পুরস্কার স্বরূপ এবার বিজেপি তাঁকে কাঁথি থেকে প্রার্থী করেছে।

শুক্রবার আবার বিজেপির দিল্লির সদর দফতরে গিয়ে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। ফলে ভোটের আগে এই যোগদানের দিব্যেন্দুর টিকিট পাওয়ার জল্পনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
তারপরই তৃণমূলের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। টুইটে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, “বিজেপি নেতারা আবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এতে নতুন আর কী রয়েছে?’’

একই সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগেও উস্কে দিয়েছেন কুণাল। টুইটে তিনি লিখেছেন,”দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিলেন। এবার পরিবারতন্ত্র নিয়ে কী বলবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী?” প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী “পরিবারতন্ত্র” নিয়ে তৃণমূলের দিকে বারে বারে আঙুল তুলেছে। এবার বঙ্গ বিজেপিতে “অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেড” নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কুণাল।


আরও পড়ুন- জল যন্ত্রণায় জেরবার বেঙ্গালুরু কি ‘ডে জিরো’র দিকে এগোচ্ছে ?
