Sunday, August 24, 2025

আজ কী ঘটেছিল ?

Date:

Share post:

অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়(১৯২০-২০০৩) এদিন প্রয়াত হন। বিশিষ্ট অধ্যাপক, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার, গবেষক। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সভাপতি ছিলেন। শংকর লিখেছিলেন, “…আমার মাস্টারমশাই অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সবকিছু মনে রাখতে পারিনি। অসিতদা যখন বেঁচে ছিলেন অসুবিধে হয়নি, ফোন ধরেই যে কোনও প্রশ্নের ঝটপট উত্তর দিতে পারতেন, বলে দিতেন কোন বইয়ের কোন খণ্ডে আমার প্রশ্নের সঠিক উত্তর আছে। অসিতদা ফোনের অপর প্রান্তে আছেন বলেই কষ্ট করে কিছু পড়ার বা মনে রাখার প্রয়োজন মনে করতাম না।” বাংলা সাহিত্যের ছাত্রছাত্রীদের পড়ার টেবিলে যে গ্রন্থটির অবস্থান অপরিহার্য, তা অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত ‘বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত’। এছাড়াও ‘ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ ও বাংলা সাহিত্য’, ‘বাংলা সাহিত্যে বিদ্যাসাগর’, ‘সাহিত্য জিজ্ঞাসায় রবীন্দ্রনাথ’ তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু গ্রন্থ। সম্পাদনা করেছেন ‘শ্রেষ্ঠ গল্প শ্রেষ্ঠ লেখক’, ‘জীবনের গল্প গল্পের জীবন’, ‘সত্যেন্দ্র রচনাবলী’, ‘বিদ্যাসাগর রচনাবলী’ ইত্যাদি। তাঁর আত্মকথা ‘স্মৃতি বিস্মৃতির দর্পণে’ এক সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। অসিতকুমার ১৯৩৮ সালে হাওড়া জেলা স্কুল থেকে বাংলায় ৭৭ শতাংশ নম্বর (সেকালের প্রেক্ষিতে বিস্ময়কর) পেয়ে ম্যাট্রিক পাশ করেন। রিপন কলেজ থেকে আইএ পরীক্ষায় বাংলা ও অসমের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তিনি প্রথম হন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর, দুটো পরীক্ষাতেই প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন। ‘ফরোয়ার্ড’ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৪১-৪২ সাল নাগাদ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সায়গন থেকে যে বক্তৃতা দিতেন তার বঙ্গানুবাদ করতেন অসিতকুমার, উল্লিখিত পত্রিকার জন্য।

২০০৬ সালে ট্যুইটার প্রতিষ্ঠিত হয় এদিন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিসকো শহরে। এটি একটি মার্কিন মাইক্রোব্লগিং এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং পরিষেবা, যেখানে ব্যবহারকারীরা ‘ট্যুইট’ নামে পরিচিত বার্তা পোস্ট করে এবং সেটির মাধ্যমে যোগাযোগ করে। এদিন জ্যাক ডরসি, নোয়াহ গ্লাস, বিজ স্টোন এবং ইভান উইলিয়ামস ট্যুইটার প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেই বছরের জুলাই মাসে চালু এটি হয়। ২৫ এপ্রিল ২০২২-এ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ স্পেস এক্স এবং টেসলার সিইও এলন মাস্কের কাছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ট্যুইটার বিক্রি করে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৯৯ সালে বিশ্ব কবিতা দিবস হিসেবে এই দিনটিকে পালনের কথা ঘোষণা করে ইউনেস্কো। কবিতা আবার কোন কাজে লাগে? কবিতার কোনও সেনসেক্স হয় না, কবিতার কোনও বাজার নেই। কবিতা কি এক ইঞ্চিও উপকার করতে পেরেছে মানুষের? জন্ম-মৃত্যু-বিবাহ— এই তিনটি সময়ে তিনটি ল্যাটিন শ্লোক আর তিনটি সংস্কৃত পদ্য প্রয়োজন পড়ে বটে, তবে তার জন্য একটা বিশ্ব-কবিতা দিবস? ‘ইউনেস্কো’ যখন প্রস্তাব দিয়েছিল, তখন এভাবেই প্রশ্ন উঠে এসেছিল কবিতার বিরুদ্ধে। আড়াই হাজার বছর আগে আরও মারাত্মক কথা উঠেছিল, কবিদের নির্বাসন দেওয়া হোক। যে প্রাচীন গ্রিসে কথাটা উঠেছিল, সেই গ্রিসই ছিল ইউরোপীয় কবিতার তলপেট। ২০০৭ এ মানুষ রাস্তায় নেমেছিল কালো মানুষের সুবিচার চেয়ে। তার পিছনে ছিল একটি কবিতা, মায়া এঞ্জেলু-র ‘হোয়াই দ্য কেজেড বার্ড সিঙ্গস।’ সান্তিয়াগোর রাস্তায় যেমন একদিন পাবলো নেরুদার কবিতা শুনে মানুষ রাস্তায় নেমেছিল, ধর্মতলার মোড়ে যেমন সুভাষ মুখোপাধ্যায় শুনে পদাতিক হয়েছিল, তেমনই ‘বিদ্রোহী’ শুনে রক্ত গরম হয়নি এরকম কোনও বাঙালি ছিল না পরাধীন ভারতে। চারশো বছর আগে শূদ্র কবি তুকারামকে খুন করেছিল মারাঠি ব্রাহ্মণেরা। দারউইশ বলছেন, কবিরা ভেবেছিলেন, কবিতা লিখে সমাজ পাল্টে দেবেন। দূর বোকা ছেলের দল। কবিতা লিখে কাউকে পাল্টানো যায় না। শুধু চোখের কোনায় একটা অশ্রুবিন্দুর অর্ধেক বেরিয়ে আসে। আর অর্ধেক থেকে যায়— দুই অর্ধেক নিয়ে মানবজাতির কবিতা। পাঁচ হাজার বছরের দুর্যোগ তাকে বিনাশ করতে পারেনি, জেনোফোবিয়া থেকে যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়, তখনও একজন উইলফ্রেড আওয়েন বুকপকেটে ‘গীতাঞ্জলি’ নিয়ে যুদ্ধবিমানে উঠবেন।

২০১২ আন্তর্জাতিক বনদিবস। এদিনটিকে পালনের কথা ঘোষণা করে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভা। প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে আজ ঋতুচক্রও বদলে গিয়েছে। আমাদের লোভের বলি হয়েছে শত, সহস্র বন্যপ্রাণ। তাই, ফি বছর এই দিনে দাবি ওঠে, অরণ্যরক্ষার পাঠ শুরু হোক শৈশব থেকে। তা হলে আজকের কিশলয় কালের নিয়মে মহীরুহ হয়ে অরণ্য ও আরণ্যকদের ছায়াদান করে বাঁচিয়ে রাখবে আগামীর জন্য।

১৯৬৫ মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের নেতৃত্বে আমেরিকার সেলমা থেকে মন্টোগোমেরি পর্যন্ত নাগরিক অধিকারের দাবিতে প্রতিবাদী মিছিল যাত্রা শুরু করে। মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র তাঁর খ্রিস্টীয় ধর্মবিশ্বাস ও মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলন দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নাগরিক ও মানবাধিকার আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।

spot_img

Related articles

ধর্ষিত মূক- বধির-বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোরীর পাশে নেই যোগী সরকার!

যোগীরাজ্যে(Yogi Adityanath) মূক ও বধির বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোরীর(Disabled Girl) নৃশংস ধর্ষণ (Brutal Rape)। পাশে দাঁড়ায়নি সরকার। ফলে মেয়েকে...

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...