কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই সরব তৃণমূল। এবার সেই সুরে সুর মেলাল কংগ্রেসও (Congress)। আয়কর মামলায় কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া নিয়ে বিজেপি (BJP) সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi), রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এবং দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে (Mallikarjun Kharge)। সোনিয়ার কথায়, এটা শুধু কংগ্রেসের নয়, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপরেও জঘন্য আঘাত। রাহুল গান্ধী বলেন, “দেশে এখন গণতন্ত্র নেই।“

আয়কর দফতর সূত্রের খবর ২০১৮-১৯ মূল্যায়ন বর্ষের আয়কর সংক্রান্ত অনিয়মের জন্য ১০৫ কোটি টাকা জরিমানা এবং ৩০ কোটির সুদ অর্থাৎ মোট ১৩৫ কোটি কংগ্রেসের (Congress) কাছে তাদের প্রাপ্য। তবে, এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে সোনিয়া বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে লোকসভা ভোটের আগে পরিকল্পিত ভাবে এই পদক্ষেপ। তাঁর মতে, এটা শুধু কংগ্রেসের নয়, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপরেও জঘন্য আঘাত। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে আয়কর সংক্রান্ত অনিয়মের জন্য ১০৫ কোটি টাকা জরিমানায় বিচার বিভাগীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে কংগ্রেসের তরফে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বেঞ্চ সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে দেয়। আদালতের জানায়, এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের কোনও উপযুক্ত কারণ তারা দেখছে না। সোনিয়ার অভিযোগ, “কংগ্রেসকে আর্থিক ভাবে পঙ্গু করার চেষ্টা চালাচ্ছেন মোদি।“
মল্লিকার্জুন খড়্গের কথায়, দেশে সত্যিই যদি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চাওয়া হয়, তা হলে যএন বিচার বিভাগ, আয়কর দফতর-সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ কংগ্রেসকে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার অনুমতি দিন।

বিজেপি বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাহুল গান্ধী বলেন, “দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ আদতে মোদি-শাহের অপরাধমূলক পদক্ষেপ।“

তবে ভোটের আগে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হলেও তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই থেকে সরে আসবেন না বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
