পরীক্ষায় নম্বর কম পাওয়ার ভয়ে প্রথমে মুখ বন্ধ করে থাকা। শেষে আতঙ্কে স্কুলে যাওয়াই বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর (Bulandsehr) জেলার একটি প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রীদের। শিক্ষাজীবনের শুরুতেই স্কুলের প্রতি এই আতঙ্কের জন্য দায়ী প্রাথমিক স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক (principal)। যোগীরাজ্যে নারী নিরাপত্তার ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যায় এই খুদে পড়ুয়াদের উপর যৌন নিগ্রহের (sexual assault) অভিযোগের পরই। যদিও অভিযোগের পর অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে আর্নিয়া থানার পুলিশ।

প্রাথমিক স্কুলের ৯ থেকে ১২ বছরের বালিকাদের অভিযোগ স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতাপ সিং (Pratap Singh) ছাত্রীদের শরীরের গোপণস্থানে হাত দিতেন। জোর করে মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও (indecent videos) দেখাতেন। আর এইসব কথা বাড়িতে বলা বারণ ছিল। তাহলেই ‘শিক্ষক’ তাদের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেবেন এমনকি স্কুল থেকে বের করে দেবেন। খুদে মেয়েরা এই হুমকিতে নিজেদের নিয়ে আশঙ্কায় বাড়িতেও কিছু বলত না। শুধু ধীরে ধীরে তারা স্কুলে আসা বন্ধ করে দিতে থাকে।

আর্নিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ দ্রুত গ্রেফতার করে প্রতাপ সিং-কে। ১২ জন ছাত্রী এই অভিযোগ জানায়। পুলিশে দায়ের হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী দেখা যায় অভিযোগকারী সব ছাত্রীই হয় ওবিসি (OBC) না হয় এসসি (SC) শ্রেণির পরিবারের সন্তান।
