“কেন গণতন্ত্র আমার মাতৃভূমিতে লুণ্ঠিত?” কমিশনকে দুষে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের সরব অভিষেক

গতকাল, সোমবার নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের ১০ জনের প্রতিনিধি দল। কমিশনের কাছে নিজেদের অভিযোগ এবং দাবি জানিয়ে বাইরে এসে ধর্নায় বসে তারা। সেই ধর্না তুলে পুলিশ তৃণমূল নেতাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, ‘হেনস্থা’ করা হয়েছে তাঁদের। তা নিয়ে গতকাল, রাতেএ কলকাতায় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় -সহ তৃণমূলের ১১ জন নেতানেত্রী।

রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে দিল্লির ঘটনার নেপথ্যে কমিশনকেই দুষেছেন তিনি। অভিযোগ করেন, কমিশন মেরুদণ্ড বিকিয়ে দিয়েছে। এরপর আজ, মঙ্গলবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের সরব অভিষেক। একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “কেন গণতন্ত্র আমার মাতৃভূমিতে লুণ্ঠিত হচ্ছে প্রতিপদে? গত কাল রাজধানীর বুকে আমাদের ১০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে যা ঘটল, তা গণতন্ত্রের মৃত্যু ছাড়া আর কী ? দিল্লির পুলিশ কি আদৌ মানুষের সেবা করছে, নাকি তারা দিল্লির স্বৈরতন্ত্রের দলদাস হয়ে গিয়েছে ? ৩ অক্টোবর ২০২৩-এর পর, আজ গোটা দেশ যে মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী থাকল, তা দেশের জন্য লজ্জার, দেশবাসীর জন্য লজ্জার। আমাদের প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে এবং ইডি, এনআইএ-র পক্ষপাতদুষ্ট পদক্ষেপের কথা বলতে, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাকা স্থায়ী বাড়ি তৈরী করার অনুমতি চাইতে! ধিক্কার নির্বাচন কমিশন!”

তাঁর সংযোজন, “মনে রাখবেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিকদের কোনও জমিদারদের লেঠেলবাহিনী দিয়ে আটকানো যাবে না। কাল রাজভবনে আমরা মাননীয় রাজ্যপালকে সবিস্তারে বলেছি এবং অনুরোধ করেছি যে এই সকল বিষয়ে নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। স্বৈরাচারী বিজেপি সরকরের পতন সময়ের অপেক্ষা।”

আরও পড়ুন- প্রচারে বেরিয়ে মহিলাদের ‘পিঠে হাত’, মুখে ‘চুমু’! বাংলার বিজেপি প্রার্থীর ছবি ভাইরাল!