বড়মার তালা বন্ধ ঘরে প্রণাম করে রাজ্যসভার শপথ নিতে দিল্লি রওনা মমতাবালার

তিনি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে শান্তনুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানাবেন

মতুয়া সমাজের প্রথম মহিলা হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি হয়ে রাজ্যসভায় শপথ নিতে দিল্লি গেলেন মমতা ঠাকুর।তার আগে বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের তালা বন্ধ ঘরের বাইরে প্রণাম করেন তিনি।বললেন, শান্তনু ঠাকুর ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা একজন অসহায় বিধবা মহিলার সঙ্গে যা করলেন মতুয়া সমাজই তার বিচার করবেন। তিনি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে শান্তনুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানাবেন।

মমতাবাল ঠাকুর কাঁদতে কাঁদতে জানালেন, মতুয়া সমাজের প্রথম মহিলা হিসেবে রাজ্যসভায় শপথ নিতে যাওয়ার সময় তিনি নিজের ঘর থেকে যেতে পারলেন না। বড়মার তালা বন্ধ ঘরের বাইরে প্রণাম করে যেতে হচ্ছে তাকে। নিজের ঘরে ঢোকার জন্য ভিক্ষা চেয়ে পুলিশের সহযোগিতায় ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র নিতে হয়েছে তাকে। তিনি আরও বলেন, আমি মমতা ঠাকুর শুধু রাজ্যসভায় যাচ্ছি না, সমগ্র মতুয়া সমাজ যাচ্ছে। মতুয়া সমাজের আর্শীবাদ আছে আমার মাথায়।

তিনি জানিয়েছেন, আমার জীবনের সবথেকে বেদনাদায়ক দিন আজ। রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছি আনন্দিত হওয়ার কথা। কিন্তু নিজের ঘরে ঢুকতে পারছি না আমি, এমনকি যে ঘরটায় আমি এতদিন থেকে এসেছি সেই তালা বন্ধ ঘরের বাইরে প্রণাম করতে হল আমাকে । দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই ঘরে এসেছেন। সেই ঘর এখন তালা বন্ধ। বড়মার পবিত্র ঘরে তার বুকের উপর জুতো পরে ঢুকে বড়মা সহ সমগ্র মতুয়া সমজকে অপমানিত করেছে শান্তনু বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী নারীদের সম্মানের কথা বলছেন, নারী শক্তির কথা বলেন বড় গলায়। সেখানে তারই এক মন্ত্রী একজন অসহায় মহিলার সঙ্গে যা করেছে সেই কথা সম্ভব হলে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানাবো।

বনগাঁ লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, মমতা ঠাকুরের এই সাফল্যে ঈর্ষান্বিত শান্তনু ঠাকুর। সেই সঙ্গে নিজের হার নিশ্চিত জেনে দিশাহারা। তাই এই ঘৃণ্য রাজনীতিতে নেমেছে। মমতা ঠাকুর রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে যাওয়াতে শান্তনু বুঝতে পেরেছে ঠাকুরবাড়িতে তার একছত্র অধিপত্য শেষ হতে চলেছে। শান্তনু যা করেছে মানুষ তার জবাব ব্যালটে দেবে বলে দাবি।