Thursday, August 28, 2025

প্ররোচনা দিতে কোচবিহার যাচ্ছিলেন রাজ্যপাল, তোপ কুণালের

Date:

Share post:

শুক্রবার প্রথম দফার নির্বাচনের আগে কোচবিহার যেতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল (Governor)। রাজভবন সূত্রে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র বিরোধিতা করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। দিল্লির বিজেপি প্রভুদের নির্দেশে উস্কানি দিতেই এই সফর বলে মনে করছে রাজ্যের শাসকদল। আলিপুরদুয়ারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, রাজ্যপালের উপস্থিতি বিজেপির পক্ষে কাজ করবে। তাই ভোট প্রচার যখন শেষ হয়ে গেছে, তখন কোচবিহারে সিভি আনন্দ বোসের (CV Anand Bose)কোনও কাজ থাকতে পারে না। আসলে বিজেপির (BJP) নির্দেশে প্ররোচনা দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কুণাল আরও বলেন, ভোট পরিচালনা এবং তদারকি করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এখানে রাজ্যপালের কোনও ভূমিকা নেই, রাজভবনের কোনও সম্পর্ক নেই। রাজ্যপালের উপস্থিতি আসলে সেই এলাকায় বিজেপির হয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা। শুধু তাই নয়, বুধবার বিকেলে প্রচার শেষ হয়ে যাওয়ার পর বিজেপি দ্বারা নিযুক্ত রাজ্যপাল কেন কোচবিহারে যাবেন, এই প্রশ্ন তুলে রাজ্যপাল এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রাজ্যপালের এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতাও করা হয় তৃণমূলের তরফে।

রাজভবন সূত্রে খবর, ভোটগ্রহণের দিন সকাল থেকেই কোচবিহারে সরেজমিনে ভোট প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখবেন বলে রাজ্যপালের সূচি তৈরি হয়েছিল। এমনকি রাজভবনের লোকসভা পোর্টালে নতুন করে কোনও অভিযোগ এলে সেগুলিরও সমাধানের উদ্যোগ রাজ্যপাল নেবেন এমন ভাবনা থাকলেও, কমিশনের হস্তক্ষেপে তা সম্ভব হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর প্রথম দফার ভোটের দিন কোচবিহারে যাতে রাজ্যপাল না যান সেই অনুরোধ করে একটি মেল পাঠিয়েছে কমিশন। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে রাজভবনে ইমেইল করে জানানো হয়েছে, যেহেতু নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু হয়ে গিয়েছে তাই এই মুহূর্তে রাজ্যপালের কোচবিহার গেলে সমস্যা বরং বাড়তে পারে। নিরাপত্তা নিয়েও সমস্যা হতে পারে। কারণ একটা বিশাল সংখ্যক পুলিশ ভোটের নিরাপত্তার কাজে নিযুক্ত রয়েছেন এখন। সেই কারণেই তাঁকে কোচবিহার সফর বাতিল করতে বলা হয়েছে।

 

spot_img

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...