কেন্দ্রের মন্ত্রী হয়ে নিজের সম্পত্তি কোটিতে নিয়ে গিয়েছেন। অথচ সেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর (Rural Development minister) গ্রামাঞ্চলেই নূন্যতম রাস্তাটুকু নেই। বিহারের বেগুসরাইতে (Begusarai) এবার বিজেপির প্রার্থী হিসাবে প্রচার করতে এসে গো ব্যাক স্লোগানের মুখে গিরিরাজ সিং (Girirraj Singh)। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদেরও দাবি কাজ করেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বাংলায় একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনায় বিভিন্ন অভিযোগ তুলে প্রায় সাড়ে তিনশো কেন্দ্রীয় কমিটি তদন্তে এসেছে। কিন্তু দুবছর ধরে তদন্তেও কোনও তথ্য না পেয়ে আটকে রেখেছে গ্রামোন্নয়ন দফতরের টাকা। অন্যদিকে গিরিরাজ সিংয়ের কেন্দ্রের গ্রামের মানুষ অভিযোগ তুলছেন উন্নয়ন থেকে কর্মসংস্থান তো দূরের কথা। এলাকায় দেখাই যায়নি গিরিরাজ সিংকে।

সম্প্রতি বেগুসরাই এলাকায় একটি নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার পথে নিজের পথ পরিবর্তন করেন গিরিরাজ সিং। কারণ নির্দিষ্ট পথে কালো পতাকা নিয়ে গ্রামবাসীরা অপেক্ষা করছিলেন গিরিরাজকে ‘গো ব্যাক’ (Giriraj Singh)শোনানোর জন্য। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, গিরিরাজ সিং সাংসদ এমনকি মন্ত্রী হওয়ার পরেও একবারও এলাকায় আসেননি। এলাকায় তাঁর কাজের ছবি তুলে ধরবে সামান্য রাস্তাঘাটের দুরবস্থা। সেই জন্যই এলাকায় এসে উন্নয়ন শব্দটাই উচ্চারণ করতে সাহস পাচ্ছেন না গিরিরাজ, দাবি গ্রামবাসীদের।

লোকসভা নির্বাচনে বেগুসরাই থেকে গিরিরাজ সিংকে প্রার্থী করায় একরকম খুশির হাওয়া বিজেপি বিরোধী জোট শিবিরে। সেখানে জোটের প্রার্থী সিপিআই-এর প্রাক্তন বিধায়ক অবধেশ রাই (Awadhesh Rai)। গতবার এই কেন্দ্র থেকে পরাজিত হন সিপিআইএর তরুন নেতা কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar)। প্রায় সাড়ে চার লক্ষ ভোটে হেরে যাওয়ার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল আরজেডি (RJD) প্রার্থীর আড়াই লক্ষ ভোট। এবার আরজেডি জোটের সঙ্গী, অর্থাৎ সেই ভোট এবার সিপিআই-এর পকেটেই পড়বে।

নির্বাচনী প্রচারে গিরিরাজ সিংয়ের মুখে শুধুই মোদির বাণী। কারণ এলাকায় কী করেছেন প্রশ্ন করলে গিরিরাজের কাছে কোনও উত্তর নেই। তাই রামমন্দিরের (Ram temple in Ayodhya) নামে ভোট চাইতে হচ্ছে তাঁকে। বাংলার মহিলাদের অপমান করে প্রচারের আলোয় আসা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এখন নিজের এলাকায় ঢুকলেই সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করছেন কর্মসংস্থান কোথায়? কাজের জন্য বাইরে গিয়ে শ্রমিক হচ্ছেন এলাকার যুবকরা। তাঁরা প্রশ্ন করছেন কেন্দ্রের সরকার যে হারে দাম বাড়াচ্ছে তাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রতিবাদ নেই কেন? উত্তরে শুধুই হিন্দু-মুসলিম মেরুকরণের (Hindu-Muslim polarisation) বাণী শোনাচ্ছেন গিরিরাজ, দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
