Thursday, August 21, 2025

জোটের বড় গদ্দার! নাম না করে অধীরকে তুলোধনা মমতার, নিশানায় সেলিমও

Date:

Share post:

বহরমপুরে দাঁড়িয়ে নাম না করে কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury) তুলোধনা করলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। বুধবার, দলীয় প্রার্থী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের সমর্থনে বড়ঞায় ডাকবাংলো কিষাণ মান্ডির মাঠে প্রচারসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই সভা থেকেই অধীরকে জোটের বড় গদ্দার বলে আক্রমণ করেন তিনি। একই সঙ্গে নিশানা করেন মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমকেও।

বহরমপুরের সভা এবারের নির্বাচনে অধীরকে আর ভোট না দেওয়ার আবেদনও জানান তৃণমূল সভানেত্রী। তাঁর কথায়, “জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খেল বিজেপি, সঙ্গে আছে বিজেপি ও সিপিএম-এর দোসর, যাকে আপনারা ঘরের ছেলে বলতেন, সকাল থেকে সন্ধে আমাদের খারাপ কথা বলা ছাড়া বহরমপুরের একটা কাজও করেনি। তাঁর নাম বলতে আমার ভালো লাগে না। আমি যেমন গদ্দারের নাম বলি না, তেমনই সেও জোটের একটা বড় গদ্দার। সকালে বিজেপির পা ধরে, বিকেলে সিপিএম-এর পা ধরে, আর সন্ধ্যায় নিজের পা ধরে। কংগ্রেসের টিকিটে জিতে লোকসভা গিয়ে বিরোধী দলনেতা।”

সম্প্রতি বহরমপুরে নির্বাচনী প্রচারে আসেন জেপি নাড্ডা। তৃণমূলকে আক্রমণ করলেও, অধীরের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। এই প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেস-বিজেপি আঁতাঁতের অভিযোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, “পরশু বিজেপির সভাপতি বহরমপুরে এসে মিটিং করলেন, তিনি একবার ওঁর নাম মুখে আনলেন না। কারণ বিজেপির সবচেয়ে বড়ে সাপোর্টার যে, সে হচ্ছে আপনাদের এখানকার কংগ্রেসের প্রার্থী। আমার লজ্জা হয়। এবার আর ওঁকে ভোট দেবেন না। অনেক হয়েছে, আমিও তো তো একদিন কংগ্রেস করতাম, সিপিএম-কংগ্রেসে জোট দেখে চলে এসেছিলাম। তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করিছলাম।”

রেলের নিয়েও অধীরকে খোঁচা দেন মমতা (Mamata Bandopadhyay)। বলেন, “আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, অনেকগুলো ট্রেন দিয়েছিলাম, অনেকগুলো ট্রেন লাইনও করে দিয়ে গিয়েছিলাম। আপনি কিছুদিন রেলমন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু কী কাজ করেছেন?”

একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমকেও তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল সভানেত্রী। মমতার অভিযোগ, সংখ্যালঘু ভোট কেটে জিততে চাইছেন অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিম। বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে সেলিম দাঁড়িয়েছেন সংখ্যালঘু ভোট কাটার জন্য। অধীর, সেলিম দু’জনেই চান সংখ্যালঘু ভোটকে হাতিয়ার করতে।’’ এতে বিজেপির সুবিধা হবে বলে মত মমতার। আর বিজেপি আবার ক্ষমতায় এলে CAA-NRC-UCC করে সবার স্বাধীনতা কেড়ে নেবে বলে সতর্ক করেন মমতা। তার কথায়, দেশের গণতন্ত্রকে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে মোদি সরকার।




spot_img

Related articles

আমন্ত্রণ আসেনি: শুক্রবার কী করবেন দিলীপ ঘোষ, অকপট, অভিমানী

কাজের সময় কাজি, কাজ ফুরোলেই পাজি। যে দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বঙ্গে বিজেপির উত্থান, শুভেন্দু-সুকান্ত জমানায় সেই দিলীপকেই...

আমি ভুল করলে পিছনে বাবা আছে: প্রথমবার মঞ্চে উঠে আরিয়ানের শাহরুখ-শরণ

নেটফ্লিক্সে ডিরেক্টরিয়াল ডেবিউ আরিয়ান খানের (Aryan Khan)। আন্ধেরির ওয়াইআরএফ (YRF) স্টুডিও-তে তার মেগা রিলিজের ঘোষণার মঞ্চে অকপট আরিয়ান।...

বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা! খেলা দেখাচ্ছে বিদায়ী বর্ষা

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ বঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা (yellow alert)। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (forecast) অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘণ্টায়...

কালা আইন এনে দুর্নীতি দমন! বিজেপির দুই শীর্ষ মন্ত্রীর মিথ্যাচার ফাঁস তৃণমূলের

সংবিধান সংশোধন করে নরেন্দ্র মোদি দেশ থেকে দুর্নীতি তাড়াবেন। বুধবার সংসদে কালা কানুন (Black Bill) জারি করার প্রথম...