সেই অর্থে কোনও পরিবারের কোনও ব্যাক গ্রাউন্ড থেকে রাজনীতির আঙিনায় আসা নয়। সহজ সরল বাচনভঙ্গি, গান, কবিতা লেখার নেশা সুবক্তা দেবাংশু ভট্টাচার্যকে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসে। এরপর ধীরে ধীরে টেলিভিশন চ্যানেলের বিতর্ক, আলোচনায় অংশ নিয়ে তাবড় বিরোধী নেতাদের কুপোকাত করায় তাঁর জুড়িমেলা ভার। ২০২১ সালে তাঁর “খেলা হবে” গানও আজও বাংলার রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক। বিশেষ করে যুব সমাজকে বাড়তি অক্সিজেন দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করতে। সেই সময় যখন দল বদলের হিড়িক পড়েছিল, দেবাংশুর “খেলা হবে” তৃণমূলের মরা গাঙে জোয়ার আনতে অনেকটাই ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছিল। এবার লোকসভা ভোটে তৃণমূলের সেই যুবনেতা তমলুক কেন্দ্রে জোড়াফুলের প্রার্থী।

ভোট প্রচারে হলদিয়ায় গিয়েছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। আর সেখানে গিয়েই পেলেন প্রকাশ্যে বিয়ের প্রস্তাব। যদিও এখনই সেই প্রস্তাব পত্রপাঠ নাকচ করেন দেবাংশু। বিয়ের চিন্তা মাথায় নেই, এখন মন দিয়ে মানুষের কাজ করে যেতে চান। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তৃণমূল প্রার্থী।

হলদিয়া পুরসভার ১২নং ওয়ার্ডে দুর্গাচক স্টেডিয়ামের কাছে প্রচার কর্মসূচি সারছিলেন দেবাংশু। তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে সম্বর্ধনা জানাচ্ছিলেন দলীয় নেতাকর্মীরা। সেই অনুষ্ঠানে দেবাংশুর জয় কামনা করেন এক মহিলা তৃণমূল কর্মী। দেবাংশুর জন্য পাত্রী খুঁজে রেখেছেন বলে মাইক হাতে জানান ওই কর্মী। তাঁর এই ঘোষণা মাত্রই হাততালিতে ফেটে পড়ে গোটা এলাকা। তবে দেবাংশু জানিয়ে দেন এখনই বিয়ে করার বিষয়ে কোনও চিন্তাভাবনা নেই। ভোটে জিতলে আগে কাজ করতে চান। সংসার জীবনে আবদ্ধ ইচ্ছে এই মুহূর্তে নেই তৃণমূল যুবনেতার।

আরও পড়ুন- মেদিনীপুরে দাঁড়ালে ২ লক্ষ ভোটে হারতেন! জুনের প্রচার সভা থেকে দিলীপকে তোপ অভিষেকের

