সম্রাটের শাসন নয়, আদালতে গণতান্ত্রিক আলোচনা: বিশ্বমঞ্চে দাবি প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের

আদালতগুলিকে সম্রাটের (emperors) চাপিয়ে দেওয়া ব্যবস্থার পরিবর্তে আবার আলোচনা করার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হিসাব মানুষ ভাবতে শুরু করেছেন

দেশের বিচার ব্যবস্থা সম্রাটের শাসনের মতো না, গণতন্ত্রের পথ খুলে দেওয়ার আলোচনার জায়গা হওয়া উচিত বলে বিশ্বমঞ্চে দাবি করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (D Y Chandrachud)। ব্রাজিলে জি-টোয়েন্টি (G-20) সদস্য দেশগুলির সর্বোচ্চ আদালত ও সাংবিধানিক আদালতের শীর্ষ পদস্থদের সম্মেলনে ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ফিরে আসার দাবিও করেন দেশের প্রধান বিচারপতি।

রিও ডি জেনিরেতো (Rio De Janeiro) অনুষ্ঠিত জে-টোয়েন্টি (J-20) দেশগুলির প্রধান বিচারপতিরা অংশ নিয়েছেন এই সম্মেলনে। ভারতের বিচার ব্যবস্থার বিবর্তনের বার্তা সেখানে তুলে ধরেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। সেই সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দেন ভারতের বিচারপতিদের কর্তব্য ও দায়িত্বের কথা। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশের বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের বিচার ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার ও তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মানুষের ব্যবহারের বর্তমান পরিস্থিতিও তুলে ধরেন প্রধান বিচারপতি।

করোনা পরিস্থিতির সময়ের উল্লেখ করে দেশের বিচার ব্যবস্থার বিবর্তনের প্রসঙ্গে চন্দ্রচূড় বলেন, “আমাদের আদালতগুলিকে সম্রাটের (emperors) চাপিয়ে দেওয়া ব্যবস্থার পরিবর্তে আবার আলোচনা করার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হিসাব মানুষ ভাবতে শুরু করেছেন।” সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “করোনা পরিস্থিতি আমাদের আদালতের প্রথম সারির যোদ্ধাদের ঠেলে দিয়েছে রাতারাতি পদ্ধতি বদলে ফেলতে। আদালতগুলি আর সামান্য অস্বচ্ছ জাগতিক ব্যবস্থায় (opaque physical spaces) সীমাবদ্ধ নেই।”

বিচারপতিদের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিচারক হিসাবে, আমরা কোনও রাজপুত্রও (princes) নই কোনও সার্বভৌম শাসক (sovereigns) নই যেখানে আমাদের নিজেদের ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন থাকবে না। আমরা পরিষেবা প্রদানকারী, এবং অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়ার সংগঠনকে সক্ষমতাদানকারী।”